নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি), ২০২৪ অর্থবর্ষের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সামনে ভোট, কিন্তু, ভোটারদের আকর্ষণ করতে কোনও বড় এবং জনপ্রিয় ঘোষণা করেননি অর্থমন্ত্রী। কোনও নতুন প্রকল্প ঘোষণা করেননি, আয়করের কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন করা হয়নি, কোনও প্রকল্পের জন্য কোনও বড় মাপের বরাদ্দও করা হয়নি। কিন্তু , এবারের বাজেটে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এক জাদু নম্বর, ১১,১১,১১১। এই বিশেষ সংখ্যাই, আগামী কয়েক বছরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আসলে, দেশের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে মোদী সরকারের মনোযোগ দেওয়ার প্রবণতাই বজায় রয়েছে এই বাজেটে। ‘ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার’ অর্থাৎ, মূলধন ব্যয় এবং পরিকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যয় বৃদ্ধির দিকেই নজর রেখেছেন নির্মলা সীতারামন। এই জাদু নম্বরও এর সঙ্গেই যুক্ত। কী এই সংখ্যা? এর পিছনে লুকিয়ে কোন অঙ্ক? দেশের অগ্রগতিই বা কীভাবে ঘটাতে পারে এই সংখ্যা? আসুন জেনে নেওয়া যাক…
এই বছরও বাজেটে মূলধন ব্যয় বাড়িয়েছে সরকার। গত বছরের বাজেটে সরকার মূলধন ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ১০ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মূলধন ব্যয় ১১.১১ শতাংশ বাড়িয়ে ১১,১১,১১১ কোটি টাকা করা হয়েছে। যা দেশের মোট জিডিপির ৩.৪ শতাংশের সমান।
গত চার বছরে সরকারের মূলধন ব্যয় বেড়েছে তিন গুণ। এটা দেশের অর্থনীতির দ্রুত অগ্রগতির সহায়র হয়েছে। একই সঙ্গে দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের মূলধন ব্যয়ের প্রভাব মাল্টিপ্লায়ার এফেক্ট ফেলেছে। সরকার এক টাকা খরচ করলেও, ভারতীয় অর্থনীতি তিনগুণ বেশি সুবিধা পেয়েছে। ২০২৪-২৫অর্থবর্ষে দেশের মোট বাজেট ৬.১ শতাংশ বেড়ে ৪৭.৬৬ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। বাজেট বৃদ্ধির মূল কারণ সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি, মূলধন বৃদ্ধি এবং সামাজিক খাতের প্রকল্পে বরাদ্দ বৃদ্ধি।
তবে, এই জাদু সংখ্যায় হতাশ অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নরেন্দ্র মোদী সরকার রাস্তা, হাইওয়ে, সেতু, রেলপথ, বাড়ি ইত্যাদির মতো পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে মূলধন ব্যয় যেভাবে বেড়েছে, তার কারণ অনেকটাই এই পরিকাঠামোগত উন্নয়ন। অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে মূলধন ব্যয়ের পরিমাণ বৃদ্ধিও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।