পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন এবং দেশের মানুষের বিপুল প্রত্যাশা! দুই বিষয়কে মাথায় রেখে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন নির্মলা সীতারমণ। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মোদী সরকারের এবারের বাজেট জনমোহনী হওয়ার জোর সম্ভবনা। যদিও একাংশের মতে, অর্থনীতির যা অবস্থা তাতে খুব একটা আশা না করাই ভাল। তবে এই তর্ক বিতর্কের মধ্যেই বেশ কিছু স্বস্তির খবর শোনা যাচ্ছে। বিশেষ করে ইলেকট্রনিক্স নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত বাজেটে নিতে পারে মোদী সরকার।
শোনা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী (টিভি, ওয়াশিংমেশিনের মতো সামগ্রী) এবং মোবাইল ফোন তৈরির সামগ্রীর ওপর কাস্টম শুল্ক কমাতে পারে। গোটা দেশের মানুষের ওপর কোপ পড়েছে মূল্যবৃদ্ধির। আকাশছোঁয়া দামে হাত পুড়ছে আমআদমির। আর সেখানে দাঁড়িয়ে শুল্ক কমালে এই সমস্ত জিনিসের দাম অনেকটাই কমতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এতে ফের একবার চাঙ্গা হবে দেশের ইলেকট্রনিক্স বাজার। এমনটাই মত অর্থনীতিবিদদের। স্বস্তি পাবেন সাধারণ মানুষও।
গত কয়েকদিন আগেই ইলেকট্রনিক্স শিল্প ক্ষেত্রের প্রতিনিধিরা সরকারের দ্বারস্থ হয়। উৎপাদন সামগ্রীর ওপর শুল্ক কমানোর দাবি জানানো হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে এই খবর এই সমস্ত প্রতিনিধিদের কাছেও স্বস্তি বলে মনে করা হচ্ছে।
এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক সরকারি দুই আধিকারিক এই বিষয়ে কথা বলেছেন। তাঁদের মতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার চায় ম্যানুফেকচারিং এবং স্থানীয় ভাবে উৎপাদন সামগ্রী তৈরিতে জোর দিতে। আর সেদিকে তাকিয়েই ইলেকট্রনিক্স এবং মোবাইল ফোন তৈরির উপাদানের উপর শুল্ক কমানোর ক্ষেত্রে এই বাজেটে বড়সড় ঘোষণা করতে পারে বলেই মত ওই আধিকারিকের।
শুধু তাই নয়, এই শুল্কের বিষয়টি আগের থেকে যাতে আরও বেশি সহজ করা যায় তা নিয়েও ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে মোদী সরকার। এমনটাই দাবি ওই আধিকারিকদের। শুধু তাই নয়, এতে স্থানীয় উৎপাদন আরও সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে স্থানীয় উৎপাদন শিল্পে জোয়ার আনতে সরকার অডিও গ্যাজেট এবং স্মার্ট ওয়াচ, স্মার্ট ব্যান্ডের উপর থেকেই আমদানি শুল্ক কমানোর বিষয়েও ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, নয়া এই সেক্টরকে ঘিরে একাধিক সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। আর সেখানে দাঁড়িয়ে সরকার মনে করছে মোবাইল ফোন উৎপাদন এবং রফতানির ক্ষেত্রে ব্যাপক গুরুত্ব বাড়বে। আর এতে ইলেকট্রনিক্স মার্কেট ব্যাপক বিস্তার লাভ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেখানে দাঁড়িয়ে এই সেক্টরে বেশ কিছু ছাড়ের পক্ষেই মোদী সরকার। আর এতে বিক্রেতা-ক্রেতা থেকে সবার লাভ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Budget 2022: ফিনটেকে নতুন প্রযুক্তিকে উৎসাহ দেওয়ার দাবি, স্কিল ডেভলপমেন্টেও দেওয়া হোক জোর