Union Budget 2023: কৃষিতে ডিজিটাল পরিকাঠামো থেকে যুব প্রজন্মে জোর, অমৃতকালে পৌঁছে দেবে নির্মলার ‘সপ্ত ঋষি’
Saptarishi: তুলো উৎপাদনের জন্য পাবলিক- প্রাইভেট পার্টনারশিপে কাজ করা হবে।
নয়া দিল্লি: অপেক্ষার অবসান। পেশ হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৩। বুধবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে গিয়ে জানান, এবারের বাজেটে সাতটি বিষয়ের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়গুলির উপরে ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়েছে বাজেট। এই বিষয়গুলি একে অপরের পরিপূরক। এগুলি সপ্তঋষির মতো আমাদের অমৃতকালের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখাবে।
অর্থমন্ত্রীরবাজেটের এই সপ্তঋষি হল- ১. সার্বিক উন্নয়ন
২. কৃষিক্ষেত্রে সাহায্যের জন্য জিজিটাল পরিকাঠামো
৩. গ্রিন গ্রোথ
৪. আর্থিক ক্ষেত্র
৫. যুব শক্তি
৬. পরিকাঠামো ও বিনিয়োগ
৭. সম্ভাবনায় সহায়তা।
সার্বিক উন্নয়ন– এই সরকার বরাবর ‘সবকা সাথ সাথ, সবকা বিকাশে’র উপরে জোর দিয়েছে। এরই অন্তর্গত ইনক্লুসিভ বা সার্বিক উন্নয়ন। বিশেষ করে কৃষক, যুব প্রজন্ম, মহিলা, জনজাতি, উপজাতি, ওবিসি এবং আর্থিকভাবে দুর্বলদের সাহায্য করা হয়েছে। উন্নয়নে সার্বিকভাবে অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বলদের উন্নয়নে জোর দেওয়া হবে। সার্বিক উন্নয়নে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ ও উত্তর পূর্ব ভারতে। এবারের বাজেট সেই সমস্ত উদ্যোগের উপরই ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।
কৃষিক্ষেত্রে সাহায্যের জন্য জিজিটাল পরিকাঠামো (Digital Public Infrastucture for Agriculture)- কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য ওপেন সোর্স, ওপেন স্ট্যান্ডার্ডের উপরে ভিত্তি তৈরি হবে। কৃষি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য, ক্রেডিট , ইন্সুরেন্স, মার্কেট ইন্টেলিজেন্স, স্টার্টআপে সাহায্য করবে সরকার। একটি বিশেষ ফান্ড তৈরি করা হবে কৃষি স্টার্টআপের জন্য। কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি, লাভ বৃদ্ধির উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হবে। তুলো উৎপাদনের জন্য পাবলিক- প্রাইভেট পার্টনারশিপে কাজ করা হবে।
এর জন্য কৃষক, রাজ্য ও শিল্পের মধ্যে সংযোগ তৈরি করা হবে। আত্মনির্ভর ক্লিন প্রোগ্রামে কোয়ালিটি প্ল্যান্টিং মেটেরিয়াল বিশেষ জোর। হাই ভ্যালু হর্টিকালচারেও ২২০০ কোটি। গ্লোবাল হাব ফর মিলেট তৈরি করা হবে। ভারত মিলেটকে জনপ্রিয় করছে। খাদ্য সুরক্ষার পাশাপাশি এটা পুষ্টি জোগাতেও সাহায্য করে। আমরা মিলেটের বৃহত্তম উৎপাদক ও দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানিকারক। রাগী, জোয়ারের মতো বিভিন্ন মিলেট উৎপাদন করা হয়। এর স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে অনেক। ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব মিলেট, হায়দরাবাদকে মিলেট চাষে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছতে সাহায্য করা হবে সরকারের তরফে। পাশাপাশি পশুপালনে জোর। পিএম মৎস যোজনার অধীনে আরও একটি প্রকল্পের ঘোষণা। এতে মৎসজীবী,ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন।
ছোট কৃষকরা কে-অপারেটিভ ভিত্তিক ব্যবস্থা। সরকার ইতিমধ্যেই ৬৩ হাজার ক্রেডিট সেশ্যাইটির নথি কম্পিউটারাজাইড করেছে। ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ ডেটা বেস তৈরি করা হচ্ছে। আমরা ডি-সেন্ট্রালাইজড স্টোরেজ ক্য়াপাসিটি শুরু করব। এতে কৃষকরা খাদ্যশ্য সংগ্রহ করতে পারবেন এবং সঠিক সময়ে সঠিক দামে ফসল বিক্রি করতে পারবেন। সরকার মাল্টিপারপস ফিশারি, ডেয়ারি কো-অপারেটিভ সোশ্যাইটি তৈরিতেও সাহায্য করবে আগামী ৫ বছরে।
হেলথ, এডুকেশন অ্যান্ড স্কিলিং- ১৫৭ নতুন নার্সিং কলেজ তৈরি করা হবে দেশের বিভিন্ন স্থানে। ২০৪৭ সালের মধ্যে অ্যানিমিয়া দূরিকরণের জন্য নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করা হবে। সচেতনতা প্রচার, ইউনিভার্সাল স্ক্রিনিং ০ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের জন্য। আদিবাসী অঞ্চলগুলিতে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। আিসএমআর – ল্যাবে রিসার্চের ব্যবস্থা করা হবে।