কলকাতা: বর্তমানে বিশ্বব্যপী অর্থনীতির যা অবস্থা, তা বিগত ১০০ বছরেও হয়েছে কিনা জানা নেই। তাই বাজেটের আগে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে সরকারের থেকে প্রত্যাশা ক্রমেই বাড়ছে। অনেকেরই আশা এবারের বাজেটে হয়তো এমন কিছুই থাকতে পারে যা আগে কোনও দিন হয়নি। বিগত দু’বছর ধরের করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে ভয়ানক আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়েছে বিভিন্ন শিল্পকে। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েনি রিয়াল এস্টেটও। তাই এবারের বাজেটের আগে আশায় বুক বাঁধছেন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে নতুন বাড়ি কিনতে আগ্রহীরা। তাই শিল্পের ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ নিয়ে প্রত্যাশাও অনেকে।
করোনা মহামারির শুরুতে বিরাট ধাক্কার মুখোমুখি হলেও ২০২১ সালে ধীরে ধীরে ফিরে আসতে থাকে রিয়াল এস্টেট শিল্প। দেশের ৭ টি প্রথমসারির শহরে বাড়ি ক্রয় ২০১৯ সালের পরবর্তী পর্যায়ের তুলনায় ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। মনে করা হচ্ছিল ২০২২ সালে এই শিল্পের আগের অবস্থানে ফিরে আসার গতি আরও বৃদ্ধি পাবে। তবে করোনা ভাইরাসের নয়া ওমিক্রিন ভ্যারিয়েন্টের কারণে সেই সম্ভাবনাও প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে। “এখনও অবধি ওমিক্রন কোনও বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারেনি। করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় রিয়াল এস্টেটে যে মন্দা এসেছিল, তার পুনরুজ্জবীন সরকারি নীতি নির্ধারণের ওপর সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ও সরকার বিভিন্নভাবে এই শিল্পের পুনরুত্থানে সহায়তা করেছে এবং চাহিদা তৈরিতে বড় ভূমিকা পালন করেছে। গত বছরের বাজেটে স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড়, করে সুবিধার মতো দৃঢ় পদেক্ষেপ হাউজিংয়ের প্রসারে সাহায্য করেছে।” নিউজ ১৮-কে এমনটাই জানিয়েছেন আনারক গ্রুপের চেয়ারম্যান অনুপ পুরী।
“উপযুক্ত বৃদ্ধির জন্য রিয়াল এস্টেট ক্ষেত্র এখন সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে। পরিকাঠামোগত অবস্থা, হাউজিং লোনের জন্য ট্যাক্স আইনে পরিবর্তন, মূল বাজারের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক সাশ্রয়ী আবাসন তৈরি করা, উপলব্ধ করের সুবিধার ক্ষেত্রে সময়সীমা বৃদ্ধি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।” এমনটাই মনে করেন গ্রান্ট থর্নটন ভারতের অন্যতম প্রধান অংশীদার সুমিত আবরোল। আয়কর আইনের ২৪ ধারার অধীনে ২ লক্ষ টাকা করছাড় বৃদ্ধি করে ৫ লক্ষ টাকা করছাড় ঘোষণা করা প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে। কারণ এই বদলের ফলে চাহিদা বাড়তে পারে বলেই মনে করছেন তাঁরা। ২০১৪ সালে ৮০ সি ধারা শেষবার পরিবর্তন হয়েছিল। এই ধারার আওতায় ব্যক্তিগত করছাড় অথবা করের হারে হ্রাস বা সংশোধিত কর কাঠামোর মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।