নয়া দিল্লি: বছর বছর কলেজ থেকে ডিগ্রি নিয়ে বেরচ্ছে যুবক-যুবতীরা। কিন্তু চাকরি কোথায়? চাকরিই নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরিসংখ্যান কিন্তু বলছে অন্য কথা। ইন্ডিয়া স্কিলস রিপোর্ট ২০২৫-র তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে যারা স্নাতক হচ্ছে, তাদের মধ্যে প্রায় ৫৫ শতাংশ শুধু দেশে নয়, বিশ্বজুড়েই চাকরি পেতে সক্ষম।
ইন্ডাস্ট্রি বডি কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি, উইবক্স ও অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশনের যৌথ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ম্যানেজমেন্টের পডুয়াদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। ম্যানেজমেন্টের ৭৮ শতাংশ পড়ুয়াই বিশ্বের বড় বড় সংস্থায় চাকরি পায়।
এরপরই রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং। ৭১.৫ শতাংশ পড়ুয়াই ভাল চাকরি পায় স্নাতক হওয়ার পর। এমসিএ স্নাতকদের ৭১ শতাংশ চাকরি পায় এবং বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতকদের মধ্যে ৫৮ শতাংশ চাকরি পায় আন্তর্জাতিক স্তরে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, দিল্লিতে চাকরির সুযোগ বাড়ছে। পুণে, বেঙ্গালুরু ও মুম্বইয়েও দক্ষ কর্মক্ষমতা তৈরি হচ্ছে।
২০২৪ সালে যেখানে পুরুষদের চাকরি পাওয়ার হার ৫১.৮ শতাংশ ছিল, তা ২০২৫ সালে বেড়ে ৫৩.৫ শতাংশ হতে পারে। তবে মহিলাদের চাকরির সুযোগ কমছে। ২০২৪ সালে মহিলাদের নিয়োগের হার ছিল ৫০.৯ শতাংশ। তা ২০২৫ সালে কমে ৪৭.৫ শতাংশ হতে চলেছে।
চাকরির ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা অত্যন্ত জরুরি। ৬ লক্ষ ৫০ হাজার পড়ুয়ার মধ্যে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ৯৩ শতাংশই ইন্টার্নশিপে আগ্রহী। কর্মজীবনে পাকাপাকিভাবে পা রাখার আগেই তারা অভিজ্ঞতা অর্জন করে নিতে চায়।
হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম, ব্যাঙ্কিং ও ফিন্যান্স ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের সুযোগ অনেক বেশি। এছাড়া কোর ইন্ডাস্ট্রি ও এফএমসিজি পণ্যের ইন্ডাস্ট্রিতেও চাকরির সুযোগ দিন দিন বাড়ছে।