২০২৫ সালটা আসতে দিন। নতুন বছরেই হয়ত একটা বড়সড় চমক দিতে চলেছে প্রভিডেন্ট ফান্ড কর্তৃপক্ষ। রাস্তার ধারে এটিএম থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তোলা যাবে। অর্থাত্ পিএফ অফিসে হত্যে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অনলাইনে আবেদন করে দিনের পর দিন অপেক্ষা করারও প্রয়োজন নেই। খালি এটিএমে গেলেই একেবারে পিএফের টাকা নিজের হাতে।
গত বুধবার কেন্দ্রীয় শ্রম সচিব সুমিতা দেওরা এই ঘোষণা করেছেন। তারপর থেকে দেখছি, বিষয়টা নিয়ে বেশ হইচই পড়ে গিয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, এটিএমে গেলেই হাতে-হাতে টাকা পাব, দারুণ ব্যাপার তো। সব এটিএম থেকেই এই পিএফের টাকা তোলা যাবে? এর জন্য কী আগে থেকে আবেদন করে তা মঞ্জুর করাতে হবে? নাকি যে কোনও গ্রাহক প্রয়োজনে পড়লেই টাকা তুলতে পারবে? এটিএমে টাকা তোলার সময় ভেরিফিকেশন কীভাবে হবে?
প্রথমত, প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট সেভিংস অ্যাকাউন্ট নয়। প্রভিডেন্ট ফান্ড বেসরকারি সংস্থার চাকুরেদের অবসর জীবনের অন্যতম সম্বল। হুটহাট পিএফ থেকে টাকা তোলার কথা ভাববেন না।
দ্বিতীয়ত, এটিএমের মাধ্যমে টাকা তোলার সুবিধা মিলবে। তবে বিষয়টা এমন নয়, যে আপনার টাকার দরকার হল, আর আপনি গিয়ে টাকা তুলে নিলেন। পিএফের টাকা তোলার যাবতীয় মাপকাঠি মানতে হবে। আপনার দাবি মঞ্জুর হলে তবেই আপনি টাকা তুলতে পারবেন।
তৃতীয়ত, এটিএম পরিষেবা চালু হলে আপনি জরুরি প্রয়োজনে অত্যন্ত দ্রুত পিএফের টাকা হাতে পাবেন। এটাই সবচেয়ে বড় সুবিধা। এখন অনলাইনে আবেদন করার পর অ্যাকাউন্টে টাকা আসতে ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগে। অনেক সময় সেই সময়টুকুও গ্রাহকের হাতে থাকে না। এটিএম পরিষেবা শুরু হলে দিনের দিনই টাকা অ্যাকাউন্টে চলে আসবে।
কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক সূত্রে খবর, যে সব গ্রাহকের পিএফ নম্বরের সঙ্গে আধার ও ফোন নম্বর লিঙ্কড, তারাই এই সুূবিধা পাবেন। এবার আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এজন্য কী আলাদা এটিএম তৈরি হবে নাকি সাধারণ এটিএমেই এই সুবিধা মিলবে? এখনও এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। টেকনিক্যাল দিকগুলো খতিয়ে দেখার কাজ চলছে।
জানা গিয়েছে, এসবিআইয়ের সাহায্যে ডেডিকেডেড এটিএম কিয়স্ক তৈরি করবে ইপিএফও। এই কিয়স্ক থেকে পিএফের টাকা তুলতে লাগবে বিশেষ কার্ড। ইপিএফও-ই সেই কার্ড গ্রাহকদের দেবে। এবং সেটা দেওয়া হবে গ্রাহকের বয়সের ভিত্তিতে। ৫৫ বছর বা তার বেশি বয়সের পিএফ গ্রাহকদের হাতে প্রথম ধাপে কার্ড তুলে দেবে ইপিএফও।