নয়া দিল্লি: পে কমিশন নিয়ে সরকারি কর্মীদের আগ্রহের শেষ নেই। কারণ এই পে কমিশনের সুপারিশের উপরই নির্ভর করে বৃদ্ধি পায় সরকারি কর্মীদের বেতন ও মহার্ঘ ভাতার হার। তবে সম্প্রতিই সরকারি কর্মীদের জন্য দুঃখের খবর শুনিয়েছে কেন্দ্র। দীর্ঘ সময় ধরে জল্পনা চললেও, আপাতত অষ্টম পে কমিশন তৈরির কোনও পরিকল্পনা নেই বলেই জানানো হয়েছে। তাহলে কী সরকারি কর্মীদের কপালে আর মহার্ঘ ভাতা জুটবে না? পে কমিশন ও মহার্ঘ ভাতা নিয়ে তৈরি হাজারো প্রশ্নেরই এবার উত্তর দিল কেন্দ্র।
চলতি সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় সূত্রে জানানো হয়েছে, নতুন করে অষ্টম পে কমিশন তৈরি করার কোনও পরিকল্পনা না থাকলেও, সরকারি কর্মীদের বেতন বা ভাতা যে বন্ধ হয়ে যাবে, এমন কোনও কথা নেই। এতদিন যেভাবে সপ্তম পে কমিশনের সুপারিশ মেনে সরকারি কর্মীদের ভাতা দেওয়া হত, তেমনই আগামিদিনে অষ্টম পে কমিশনের সুপারিশ মেনে ভাতা ঘোষণা করবে সরকার। তবে এখনই নয়, ২০২৬ সাল থেকে অষ্টম পে কমিশনের সুপারিশ মেনে ভাতা ঘোষণা করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, কোনও পে কমিশনের সুপারিশ ঘোষণার সাধারণত দুই বছর আগে পে কমিশন তৈরি করা হয়। সুতরাং চলতি বছরে অষ্টম পে কমিশন তৈরির কোনও সম্ভাবনাই নেই। আগামী ২০২৪ সালে এই নতুন পে কমিশন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্র।
সম্প্রতিই কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, সরকারি কর্মীদের জন্য এখনই কোনও পে কমিশন তৈরির কথা ভাবছে না সরকার। এই বিষয়ে কোনও প্রস্তাবনাও আসেনি। আপাতত সপ্তম পে কমিশনের সুপারিশ মেনেই মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা করা হবে। বর্তমানেও সপ্তম পে কমিশনের সুপারিশ মেনেই কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকারি কর্মীদের বেতন, মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়।
ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সরকারি কর্মীদের উপার্জনের সঙ্গে কিছুটা স্বস্তি দিতেই আসল বেতনের উপরে একটি নির্দিষ্ট শতাংশ বর্ধিত ভাতা ঘোষণা করা হয়, একেই মহার্ঘ ভাতা বলে। আর যে কমিশন এই মহার্ঘ ভাতার হার স্থির করে দেয়, তাই-ই হল পে কমিশন। সরকারি কর্মীদের বেতনের কাঠামো এবং পদোন্নতির পর বর্ধিত বেতনের হার কত হবে, এই সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেয় পে কমিশন। ১৯৪৬ সালে ভারতে প্রথম পে কমিশন গঠন করা হয় এবং ১৯৪৭ সালের মে মাসে কমিশন প্রথমবার তার সুপারিশ জমা দেয়।
নির্দিষ্ট কোনও সময় ধার্য করা না থাকলেও, সাধারণত প্রতি ১০ বছর অন্তর নতুন করে পে কমিশন গঠিত হয়। দেশে এখনও অবধি মোট সাতটি পে কমিশন গঠিত করা হয়েছে। ২০১৪ সালে শেষ কমিশন গঠিত হয়েছে, ২০১৬ সালে তা প্রথম সুপারিশ পেশ করে।