টুইটার চুক্তি (Twitter Deal) সম্পন্ন হয়েছে। আর টুইটার অধিগ্রহণের পরেই চাকরি গিয়েছে সিইও পরাগ আগরওয়াল ও আরও তিন আধিকারিকের। টুইটার চুক্তি নিয়ে কথাবার্তা শুরু হওয়ার সময়েই জল্পনা শুরু হয়েছিল, এলন টুইটার কিনলে পরাগ আগরওয়াল চাকরি হারাতে পারেন। তাই পরাগের চাকরি যাবে সেটা কিছুটা অনুমান করাই গিয়েছিল। তবে আগরওয়ালের পাশাপাশি আরও দু’জনের চাকরি যাওয়াতে সংশয়ে দিন কাটাচ্ছেন সংস্থার বাকি কর্মীরাও। জানা গিয়েছে, সংস্থাদের কর্মীদের টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তা পূরণ না হলেই যাবে চাকরি।
এলন টুইটার অধিগ্রহণের পর নিঃশ্বাস নেওয়ার অবকাশ নেই সংস্থার কোনও কর্মীর। ভয়ে ভয়ে দিন কাটছে তাঁদের। এই বুঝি চাকরিটা চলে গেল। জানা গিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন কর্মীরা। সিএনবিসির একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, টুইটারের ম্যানেজারদের সপ্তাহের সাতদিন ১২ ঘণ্টা করে কাজ করতে বলা হয়েছে। মাস্ক টুইটার অধিগ্রহণের আগে যাঁরা এই সংস্থায় কাজ করতেন তাঁদের সবাইকে নিজের কাজ ও তাঁদের দলের কাজের ন্যায্যতার প্রমাণ দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের কাজের জন্য সংস্থার কী লাভ হচ্ছে তা বিস্তারিত জানাতে বলা হয়েছে।
সিএনবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, অনেক টুইটার কর্মী এখন আশঙ্কায় দিন গুনছেন যে যেকোনও মুহূর্তে কোনওরকম সতর্কতা ছাড়াই তাঁদের চাকরি যেতে পারে। এদিকে নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, কাজের ভিত্তিতে তাঁদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এমনকী শুক্রবার ও শনিবার বাড়িমুখোও হচ্ছেন না অনেকে। শুক্রবার ও শনিবার অফিসেই রাত কাটছে সংস্থার কর্মীদের। গত সপ্তাহেই চাকরি খুইয়েছিলেন সিইও পরাগ আগরওয়াল, লিগ্যাল এগজিকিউটিভ বিজয় গাড্ডে, চিফ ফিন্য়ান্সিয়াল অফিসার নেদ সেগাল ও জেনারেল কাউন্সেল শন এজেট। প্রসঙ্গত, নিউ ইয়র্ক টাইমস এর আগে জানিয়েছিল, পরবর্তী মাসের শুরুতেই কর্মীদের বেতন যাতে দিতে না হয় তার জন্য মাস্ক টুইটারে বিপুল ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করেছিলেন। তবে এই রিপোর্ট অস্বীকার করেছিলেন মাস্ক।
তবে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, যেসব কর্মীরা আগামিদিনে চাকরি খোয়াতে পারেন তাঁদের সম্ভাব্য তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে কয়েকজন ম্যানেজারকে। ১ নভেম্বরের আগেই তাঁদের চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে মাস্ক বলেছিলেন, এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যে। ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, সংস্থার প্রায় চারভাগের একভাগ কর্মী চাকরি খোয়াতে পারেন। যার ফলে সংস্থার সেলস, ইঞ্জিনিয়ারিং, লিগ্যাল, প্রোডাক্ট সহ একাধিক বিভাগে প্রভাব পড়তে পারে। এদিকে এই খামতি পূরণের জন্য টেসলা থেকে ৫০ জনের বেশি কর্মীকে নিয়ে আসা হয়েছে বলেও সিএনবিসির রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।