নয়া দিল্লি: চাকুরিজীবীদের অবসরের পর উপার্জনের একমাত্র ভরসা থাকে পেনশনই। জীবিত থাকাকালীন এই পেনশন যাতে চালু থাকে, তার জন্য অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের জীবন প্রমাণপত্র বা অ্যানুয়াল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। পেনশন ছাড়াও একাধিক আর্থিক সুবিধা পাওয়ার জন্য এই জীবন প্রমাণপত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক বছরই ১ নভেম্বর থেকে জীবন প্রমাণপত্র জমা দেওয়া শুরু হয়। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের ক্ষেত্রে, যাদের বয়স ৮০ বছর বা তার ঊর্ধ্বে, তারা ১ অক্টোবর থেকেই জীবন প্রমাণপত্র জমা দিতে পারছেন।
জীবন প্রমাণপত্র জমা দেওয়ার কাজটি যাতে ঝঞ্চাটমুক্ত হয়, তার জন্য একাধিক পন্থার ব্যবস্খা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা সরাসরি ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস বা অন্য কোনও সরকারি দফতরে গিয়ে জীবন প্রমাণপত্র জমা দিতে পারেন। তেমনই আবার ডিজিটাল পদ্ধতিতেও জীবন প্রমাণপত্র জমা দিতে পারেন।
যদি কোনও অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তির শারীরিক সমস্যা থাকে বা তিনি সশরীরে হাজির হতে না পারেন জীবন প্রমাণপত্র জমা দেওয়ার জন্য়, তবে সরকারি আধিকারিককে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়েও লাইফ সার্টিফিকেট বা জীবন প্রমাণপত্র জমা দিতে পারেন। সেন্ট্রাল পেনশন অ্যাকাউন্টিং অফিসের নিয়ম অনুযায়ী, কেউ যদি সশরীরে জীবন প্রমাণপত্র জমা দিতে না পারেন, তবে অনলাইনেও জীবন প্রমাণ পোর্টালের মাধ্যমে প্রমাণপত্র জমা দিতে পারেন। এক্ষেত্রে জীবন প্রমাণ আবেদনপত্র ডাউনলোড করে, ইউআইডিএআই-র নির্ধারিত যন্ত্রের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক আপডেট করতে হবে। ইউআইডিএআই-র আধার সফটওয়্যারের মাধ্যমেই ফেস অথেনটিফিকেশন টেকনোলজির মাধ্যমে এই জীবন প্রমাণপত্র জমা দেওয়া হয়।
অন্য়দিকে, ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক ও ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্ট ব্যাঙ্কের তরফে জীবন প্রমাণপত্র জমা দেওয়ার জন্য “ডোরস্টেপ সার্ভিস” চালু করা হয়েছে। গুগল প্লে স্টোর থেকেও পোস্টইনফো নামক অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করেও অনলাইন মাধ্যমে পেনশন জমা দেওয়া যায়।
এছাড়া ১০০টি বড় শহরে ১২টি বেসরকারি ব্যাঙ্কও লাইফ সার্টিফিকেট জমা নেয়। পেনশন গ্রহীতারা ডোরস্টেপ ব্যাঙ্কিং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমেও জীবন প্রমাণপত্র জমা দিতে পারেন। এরজন্য দুটি টোল ফ্রি নম্বর ১৮০০১২১৩৭২১, ১৮০০১০৩৭১৮৮- ও দেওয়া হয়েছে।