Armed Forces: এইসব দেশে সেনায় যোগ দিতে পারেন বিদেশিরাও, ভারতে কী হয় জানেন?
Army: আপনি ভারতীয় হয়ে অন্য কোনও দেশের হয়ে যুদ্ধে লড়ছেন। ঠিক যেন ভাড়াটে সৈন্য। এই কথা ভাবতেও পারছেন না নিশ্চয়। কিন্তু এমন হয়। পৃথিবীর একাধিক দেশেই হয়। এমনকি আমাদের দেশ ভারতেও এমন হয় কিন্তু।

বিদেশি হিসাবে কোনও দেশের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার সুযোগ! কী ভাবছেন, এমন আবার হয় নাকি? আপনি ভারতীয় হয়ে অন্য কোনও দেশের হয়ে যুদ্ধে লড়ছেন। ঠিক যেন ভাড়াটে সৈন্য। এই কথা ভাবতেও পারছেন না নিশ্চয়। কিন্তু এমন হয়। পৃথিবীর একাধিক দেশেই হয়। এমনকি আমাদের দেশ ভারতেও এমন হয় কিন্তু।
ফ্রান্স: ফ্রেঞ্চ ফরেন লিজিয়ন
সামরিক বাহিনীতে বিদেশিদের নিয়োগ করার ক্ষেত্রে ফ্রান্সের ফরেন লিজিয়ন বেশ বিখ্যাত। এই বাহিনীতে যে কোনও দেশের নাগরিক যোগ দিতে পারেন। এমনকী ফরাসি না জানলেও এই লিজিয়নে যোগ দেওয়া যায়।
আমেরিকা: MAVNI প্রোগ্রাম
একসময় আমেরিকাতেও ছিল এমন সুযোগ। MAVNI বা Military Accessions Vital to National Interest প্রোগ্রামের মাধ্যমে ডাক্তার বা ভাষাবিদদের মতো বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন আইনি অভিবাসীরা আমেরিকার সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারতেন। আর তার বদলে পাওয়া যেত নাগরিকত্ব।
রাশিয়া: দ্রুত নাগরিকত্বের হাতছানি
রাশিয়া বরাবরই মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মানুষদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করেছে। ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক নির্দেশনামা জারি করেন। সেই নির্দেশনামা অনুযায়ী, কেউ যদি রাশিয়ার সেনা বাহিনীতে যোগ দিয়ে সক্রিয়ভাবে যুদ্ধে অংশ নেয়, তাহলে তাঁর জন্য নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়াটি আরও দ্রুত করা হবে।
ভারত, ইজরায়েল ও আয়ারল্যান্ড: কী নীতি রয়েছে?
আমাদের দেশ ভারত তার প্রতিবেশী দেশ নেপাল এবং ভুটানের নাগরিকদের সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ করে। বিশেষত গোর্খা কমিউনিটির মানুষদের ভারতীয় সেনাবাহিনী এক বিশেষ সম্মানের চোখে দেখে। অন্যদিকে, ইজরায়েল তাদের Mahal বা Garin Tzabar প্রোগ্রামের মাধ্যমে ইহুদি বংশোদ্ভূতদের IDF বা ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সে যোগ দিয়ে সমাজে মিশে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। আর আয়ারল্যান্ডে EEA-এর নাগরিক বা যারা টানা ৫ বছর সেদেশে বসবাস করেছেন, তারা সেই দেশের সেনা বাহিনীতে আবেদনের যোগ্য।
