নয়া দিল্লি: মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সম্প্রতিই রেপো রেট বৃদ্ধি করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ায় বর্তমানে রেপো রেট বেড়ে ৫.৪০ শতাংশে পৌঁছেছে। পরপর তিন দফায় রেপো রেট বাড়ায় বিভিন্ন ব্যাঙ্কগুলিও তাদের ঋণের উপরে সুদের হার বৃদ্ধি করতে শুরু করেছে। এরফলে চাপ বাড়বে গৃহস্থের পকেটে। যারা ঋণ নিয়েছেন, তাদের মাসিক ইএমআইয়ের অঙ্ক বেশ অনেকটাই বাড়তে চলেছে। কিন্তু সকলের পক্ষেই কী এই বাড়তি ইএমআইয়ের খরচ বহন করা সম্ভব?
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া রেপো রেট বাড়াতেই ব্যাঙ্কগুলির উপরে চাপ বেড়েছে। তবে রেপো রেট ও ব্যাঙ্কের সুদের হিসাব বোঝার আগে রেপো রেট কী, তা জানা প্রয়োজন। ব্যাঙ্কগুলিকে যে সুদের হারে ঋণ দেয় আরবিআই, তাকেই রেপো রেট বলে। রেপো রেট যত বাড়বে, ব্যাঙ্কগুলির উপরে সুদের হারও ততই বাড়তে থাকবে। স্বাভাবিকভাবেই এই অতিরিক্ত সুদের বোঝা ব্যাঙ্ক নিজে বহন করবে না, তা গ্রাহকদের উপরই চাপিয়ে দেবে। এই কারণেই এবার গৃহ ঋণ সহ একাধিক ঋণের উপরে সুদের পরিমাণ বাড়তে চলেছে। যারা নতুন ঋণ নেবেন, তাদের যেমন অতিরিক্ত সুদ গুনতে হবে। তেমনই আবার যারা ইতিমধ্যেই ঋণ নিয়েছেন, তাদেরও ইএমআইয়ের হার বেড়ে যাবে।
ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ঋণ তো শোধ করতেই হবে। এক্ষেত্রে গ্রাহকদের সামনে দুটি পথ খোলা হয়েছে, হয় ইএমআইয়ের পরিমাণ বাড়ান, নয়তো ঋণের মেয়াদ বাড়ান। অনেকেই মনে করছেন ঋণের মেয়াদ বাড়ানোই ভাল উপায়। এতে প্রতি মাসে অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হবে না। তার বদলে আর কিছুদিন অতিরিক্ত ঋণের খরচ বহন করতে হবে। তবে বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, ঋমের মেয়াদ বাড়ানোর বদলে, ইএমআইয়ের পরিমাণ বাড়ানোই শ্রেয়। কারণ যদি আপনি ঋণের মেয়াদ বাড়ান, তাতে যে পরিমাণ সুদের হার বসবে, তা বর্ধিত ইএমআইয়ের তুলনায় বেশি হবে।