নয়া দিল্লি: দেশের বস্ত্র ব্যবসায়ী, বিশেষ করে জামাকাপড় রফতানিকারকদের জন্য দারুণ সুখবর। চলতি অর্থবর্ষেই ৯ থেকে ১১ শতাংশ রাজস্ব বৃদ্ধি হতে পারে। ইকরা (Icra)-র রিপোর্ট অনুযায়ী, পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতি, খুচরো বাজারের সরলীকরণ এবং বস্ত্র তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে ভারতের দিকে ঝোঁকার কারণেই লাভ হতে চলেছে।
গত ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষ যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল বস্ত্র রফতানিকারকদের জন্য। একদিকে চাহিদা হ্রাস পাওয়া, অন্যদিকে লোহিত সাগরে হুথিদের দাপটে সাপ্লাই চেইনে বিঘ্ন ঘটার কারণে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল। পাশাপাশি বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কড়া প্রতিযোগিতা তো রয়েইছে। তবে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষেই এই চিত্রটা বদলাতে চলেছে।
দেশের ১৫টি বড় পোশাক রফতানিকারক কোম্পানি, যারা দেশের পোশাক রফতানি ব্যবসার ১৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের উপরে সমীক্ষা চালিয়েই আইসিআরএ বা ইকরা(Icra)-র তরফে জানানো হয়েছে যে এবারে ৯ থেকে ১১ শতাংশ রাজস্ব বৃদ্ধি পেতে পারে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্ব বাজারে ভারতীয় বস্ত্রের চাহিদা, প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভের মতো সরকারি সাহায্যের কারণেই এই লাভ হতে চলেছে। এর পাশাপাশি ব্রিটেন ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে যে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্টের কথা চলছে, তা বাণিজ্য়ে আরও সাহায্য করবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ভাগেই বস্ত্র রফতানি ৯ শতাংশ বেড়েছে, প্রায় ৭.৫ বিলিয়ন ডলারের রফতানি হয়েছে। এই পরিমাণ আগামিদিনে আরও বাড়বে।
এক্ষেত্রে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল বাংলাদেশের অশান্তি। বস্ত্র শিল্পে ভারতকে কাধে কাধ রেখে টেক্কা দিচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বর্তমান টালমাটাল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বস্ত্র শিল্প বড় ধাক্কা খেয়েছে। ভারতে তুলনামূলকভাবে শ্রমিক পিছু একই বা কম খরচের কারণে ভারত থেকেই বস্ত্র আমদানির দিকে ঝুঁকবে অন্যান্য দেশগুলি।