করোনা মহামারিতে বিনা নোটিসে অনেকেরই চাকরি গিয়েছে। সেই সময় চাকরির বাজারে বেড়েছে অনিশ্চয়তা। এই পরিস্থিতিতে কেউই একটা আয়ের উৎসের উপর নির্ভর করে থাকেন না। বা চাকরি করার পাশাপাশি নিজের স্বাধীন ব্যবসার স্বপ্নও দেখেন অনেকে। এদিকে বাজারে জিনিসপত্রেরও দাম বেড়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর পিছনেই বেতনের অর্ধেকের বেশি বেরিয়ে যাচ্ছে অনেকেরই। এই আবহে বাড়তি রোজগারের পরিকল্পনা অনেকেই করেন। সেক্ষেত্রে নিজের ব্যবসা একটা ভাল বিকল্প। নিজের দক্ষতা বুঝে ব্যবসায় পা দিলে সেখানে আসতে পারে সাফল্য। হতে পারে লক্ষ লক্ষ টাকা আয়। প্রথমে স্বল্প বিনিয়োগ বেশি রিটার্ন পাওয়া যাবে এরকম কিছু দিয়েই শুরু করা উচিত।
সামনেই উৎসবের মরশুম। তার রেশ এখন থেকেই প্রায় শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই সময়ে দাঁড়িয়ে কম বিনিয়োগে ভাল ব্যবসার বিকল্প নিয়ে আলোচনা করা হল এখানে। বর্তমান সময়ে ঘর সাজানো, খেলনা, ওয়াল পেইনন্টিং বা উৎসবের রঙ্গোলির বেশ চাহিদা রয়েছে। কম বাজেটেই এইসব ব্যবসা শুরু করা যায়। এইসব ব্যবসায় সাফল্যও খুব তাড়াতাড়ি আসতে পারে। ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনাও কম।
দেওয়ালে আঁকার ব্যবসা (Wall Painting) :
আজকাল ওয়াল পেইন্টিংয়ের চাহিদা খুব বেড়েছে। আপনার যদি আঁকার শখ থেকে থাকে বা ঝোঁক থাকে এবং এটিকেই পেশা হিসেবে এগিয়ে যেতে চান তাহলে অপেক্ষা না করে শুরু করে দিন। প্রয়োজন তো শুধু রং, তুলি, আর চিন্তাশীল, সৃজনশীল মনের। ব্যস আপনার ব্যবসা শুরু। একটা কাজ দেখিয়ে মুগ্ধ করতে পারলেই খানায় খাজ়ানা। পরপর অর্ডার আসতেই থাকবে। এই ডিজিটাল যুগে নিজের কাজের উদাহরণ দেখিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে করতে পারেন মার্কেটিং।
খেলনা ব্যবসা :
বর্তমানে খেলনার ব্যবসার চাহিদা খুব দ্রুত হারে বাড়ছে। শিশুরা খেলনা নিয়ে খেলাধূলো করতে বরাবরই পছন্দ করে। তাই এর চাহিদা সেইভাবে পড়বে না। খেলনার ধর বদলাতে পারে কিন্তু চাহিদা থেকে যাবে। খুব কম বাজেটে এই ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে।
রঙ্গোলির ব্যবসা :
বিভিন্ন সময়ে রঙ্গোলির চাহিদা রয়েছে। বিশেষত কোনও শুভ অনুষ্ঠানে। দীপাবলির মতো অনেক উৎসবই রঙ্গোলি ছাড়া ফিকে লাগে। দীপাবলিতে রঙ্গোলির চাহিদা বাড়ে। এই পরিস্থিতি রঙের ব্যবসায় ওর ভাল লাগতে পারে।