Banking Rules: ‘লাঞ্চ ব্রেক চলছে, পরে আসুন’-এই কথা কি ব্যাঙ্ক আদৌ বলতে পারে? RBI-র নিয়ম জানুন
RBI Rules: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার নিয়ম বলে, লাঞ্চ বা মধ্যাহ্নভোজের সময় ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকে না। ব্যাঙ্কের কর্মীরা খাবার খেতে যেতে পারেনই, তবে একসঙ্গে সকলে লাঞ্চে যেতে পারেন না। যাতে পরিষেবা সবর্দা সচল থাকে, তার জন্য ব্যাঙ্কের কর্মীরা ভাগে ভাগে খেতে যেতে পারেন।

নয়া দিল্লি: দুপুরবেলায় কোনও কাজে ব্যাঙ্কে গেলে অনেক সময় শুনতে হয়, এখন লাঞ্চ ব্রেক চলছে, পরে আসুন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট হয় এই জন্য। বিশেষ করে সরকারি ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা এই অভিযোগ ভুরি ভুরি করেছেন। ব্যাঙ্কে কি সত্যি ১ ঘণ্টা ধরে লাঞ্চ ব্রেক চলে? কী বলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার নিয়ম বলে, লাঞ্চ বা মধ্যাহ্নভোজের সময় ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকে না। ব্যাঙ্কের কর্মীরা খাবার খেতে যেতে পারেনই, তবে একসঙ্গে সকলে লাঞ্চে যেতে পারেন না। যাতে পরিষেবা সবর্দা সচল থাকে, তার জন্য ব্যাঙ্কের কর্মীরা ভাগে ভাগে খেতে যেতে পারেন। কখনওই ব্যাঙ্ক ফাঁকা রেখে বা কাজ বন্ধ রেখে সকলে খেতে চলে যেতে পারেন না।
ব্যাঙ্কে সাধারণত ১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত লাঞ্চ ব্রেক চলে। বিভিন্ন ব্যাঙ্কে বা ব্রাঞ্চে এর মধ্যে নির্দিষ্ট সময় ভাগ করা থাকে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সমস্ত ব্যাঙ্কের জন্য কোনও একটা নির্দিষ্ট সময় ধার্য করে দেয়নি লাঞ্চ ব্রেক হিসাবে। বরং বলা হয়েছে, যাতে পরিষেবা চালু থাকে, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে।
সহজ কথায় বলতে গেলে, ব্যাঙ্কে কর্মীদের লাঞ্চ ব্রেক রোটেশনে হয়, অর্থাৎ ধাপে ধাপে একেক করে কর্মীরা খাবার খেতে যেতে পারেন। দুপুরে লাঞ্চ ব্রেকের সময় ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকে না। নিয়ম অনুযায়ী, অন্তত একটি কাউন্টার চালু রাখতেই হয়।
গ্রাহকদের অধিকার ব্যাঙ্কিং আওয়ার অর্থাৎ ব্যাঙ্ক যতক্ষণ খোলা থাকে, তারমধ্যে যে কোনও সময়ে ব্যাঙ্কে যেতে পারেন। লাঞ্চ ব্রেক বলে কোনও ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের ফিরিয়ে দিতে পারে না।
