নয়া দিল্লি: করোনা সংক্রমণের দুটি ঢেউয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বহু সরকারি কর্মী। তাঁদের মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যদের যাতে আর্থিক অনটনের মুখে পড়তে না হয়, সেই উদ্দেশ্যে বিশেষ সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। কোনও সরকারি কর্মীর মৃত্যুর পর পারিবারিক পেনশন চালুর আবেদন জানানোর এক মাসের মধ্যেই সেই ভাতা চালু করতে হবে, এমনটাই নির্দেশ দিল কেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের তরফে এই নির্দেশিকা দেওয়ার পরই “পেনশন ও পেনশনারস ওয়েলফেয়ার”-র তরফেও পুরনো পেনশন স্কিম ও ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমের অন্তর্গত সমস্ত কর্মী-গ্রাহকদের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, সরকারি কর্মীরা তাদের কর্মজীবনে অবসরকালীন ভাতার জন্য প্রতি মাসে যে টাকা দিয়েছিলেন, তা মৃত্যুর পর দ্রুত পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
কেন্দ্রের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “পরিবারের সদস্যরা আবেদন করার পরই পেনশন দফতর প্রয়াত কর্মীর স্থায়ী অবসর অ্যাকাউন্ট নম্বরটি বন্ধ করার কাজ শুরু করবে এবং একইসঙ্গে পারিবারিক পেনশনের কাজও শুরু করবে। কর্মীর পেনশন অ্যাকাউন্টে সরকারের যে অর্থ অনুদান থাকে, সেই অঙ্কও কর্মীর নামে থাকা সরকারি অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।”
এই বিষয়ে এনএমওপিএস-র দিল্লি শাখার সভাপতি মনজিত সিং পটেল বলেন, “আমরা অত্যন্ত খুশি যে সরকার পারিবারিক পেনশনের পাশাপাশি সরকারি কর্মীর নিজের পেনশনে বিনিয়োগ অর্থও একসঙ্গে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইসঙ্গে আমরা কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি যে কর্মীরা যেন তাদের পেনশনের সম্পূর্ণ অর্থই ফেরত পায় এবং তার পরিবারের সদস্যরা প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনও সময়ে সেই অর্থ তুলে নিতে পারে।”
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে যে করোনা সংক্রমণে বহু সরকারি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন। এই কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁদের পরিবারকে যথাসাধ্য সাহায্যের জন্যই পেনশনের আবেদনের একমাসের মধ্যেই প্রাপ্য আর্থিক ভাতা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা সঙ্কটের জন্য দায়ী কেন্দ্রের ‘স্কিৎজোফ্রেনিয়া’: অমর্ত্য সেন