বিভিন্ন সময়ে অ্যাপ ক্যাবের ভাড়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে যাত্রীদের। স্বল্প দূরত্বের যাত্রার জন্য অনেক সময়ই আকাশছোঁয়া দাম চেয়ে বসে অ্যাপ ক্যাবগুলি। কখনও কখনও কোনও উপায় না থাকায় সেই ভাড়া মেটাতেও হয় যাত্রীদের। তবে হায়দরাবাদের এক যাত্রী মেনে নিতে পারেননি এই অস্বাভাবিক ভাড়া। আর এর জন্য তিনি ওলা-কে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন আদালতে। এই আবহে হায়দরাবাদের এক উপভোক্তা আদালতের নির্দেশে এবার ওলাকে সেই যাত্রীকে ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।
জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী যাত্রীর নাম জাবেজ স্যামুয়েল। তিনি একটি ওলা ভাড়া করেছিলেন। তাতে করে তিনি ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার পথ যান। এই দূরত্বের যাত্রার জন্য তাঁর থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা নিতে পারত সংস্থা। তবে তাঁর থেকে ভাড়া বাবদ নেওয়া হয়েছিল ৮৬১ টাকা। অভিযোগকারীর বিবৃতি অনুযায়ী, কয়েকদিন আগে তিনি, তাঁর স্ত্রী এবং সহকারী ৪ ঘণ্টার জন্য একটি ওলা ভাড়া করেছিলেন। তবে সেই ক্যাবটি খুবই নোংরা ছিল। চালককে এসি চালাতে বললে তিনি তা করেননি। এই আবহে ৪ থেকে ৫ কিমি গিয়ে তাঁরা গাড়ি থেকে নেমে পড়েন।
অভিযোগকারী জানান, গাড়ি থেকে নামতেই ৮৬১ টাকার একটি বিল জেনারেট হয়। এদিকে তিনি ওলা ক্যাশ ক্রেডিট সার্ভিসের মাধ্যমে ক্যাবটি বুক করেছিলেন বলে তাঁকে চালককে ভাড়া দিতে হয়নি। এরপর তিনি ওলার কাছে এই অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে অভিযোগ জানান। তবে তাঁর অভিযোগ কেউ কানেই তোলেনি। উলটে তাঁকে ভাড়া মেটানোর জন্য বারংবার ফোন করে বিরক্ত করা হয় সংস্থার তরফে। এই আবহে স্যামুয়েল আদালতে ওলার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এই মামলায় জয়ী হন স্যামুয়েল। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, মানসিক যন্ত্রণা দেওয়ার জন্য স্যামুয়েলকে ওলা ৮৮ হাজার টাকা দেবে। আর শুনানির খরচ বাবদ আরও ৭ হাজার টাকা স্যামুয়েলকে দিতে হবে সংস্থাকে। তাছাড়া ৮৬১ টাকা ভাড়াও ফিরিয়ে দিতে বলা হয়েছে সংস্থাকে। তার উপর ১২ শতাংশ সুদ ধার্য করে সেই পরিমাণ অর্থও দিতে বলা হয়েছে। যাত্রার দিন থেকে টাকা শোধের দিন পর্যন্ত মেয়াদের জন্য এই সুদ প্রযোজ্য হবে।