ক্রিপ্টোকারেন্সিকে (Cryptocurrency) কেন্দ্র করে অপরাধমূলক কাজের প্রবণতা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি ক্রিপ্টো কারেন্সি নিয়ে মানুষের উৎসাহ বেড়েছে। সারা পৃথিবীতেই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ। তার পাশাপাশি ক্রিপ্টো ঘিরে বেড়েছে দুর্নীতি, হ্যাকিং ও চুরির মতো ঘটনা। এ বছর ক্রিপ্টো বাজারে নেমেছে ধস। তবে একটা গোষ্ঠীর জন্য একটি ডিজিটাল ক্যাশ-মেশিন হিসেবে রয়ে গিয়েছে। সেই গোষ্ঠী হল হ্যাকার। ক্রিপ্টো বাজার ভাল না চললেও ফুলে ফেঁপে বাড়ছে হ্যাকারদের পকেট। এই অক্টোবর মাসেই ৭১৮ মিলিয়ন ডলার চুরি করা হয়েছে। এর ফলে এই বছরে মোট চুরি করা ক্রিপ্টোকারেন্সির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ বিলিয়ন ডলার। এবং এই বছরে রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টো হ্যাক করা হয়েছে।
চেইনালাইসিসের তরফে জানানো হয়েছে, ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরির ক্ষেত্রে ২০২১ সালের রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে ২০২২ সাল। ১২৫ টি হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে এ বছর এখনও পর্যন্ত ৩ বিলিয়ন ডলার হ্যাক করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, হ্যাকাররা DeFi মার্কেটপ্লেসের সঙ্গে সুপরিচিত হয়ে গিয়েছে। তার নাড়ি নক্ষত্র জেনে গিয়েছে। আর এই DeFi মার্কেটপ্লেসের নিরাপত্তা, কোডিং ও কাঠামোর দুর্বলতা লাগাতে তারা পারদর্শী হয়ে উঠেছে। এরপর ক্রিপ্টো প্লেয়ারদের হাতে এই DeFi মার্কেটপ্লেসের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সমাধান খোঁজার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে টুইটারে বৃহস্পতিবার চেইনালিসিসের তরফে টুইটে লেখা হয়েছে, হ্য়াকিং অ্যাক্টিভিটির জন্য অক্টোবর এখন সবথেকে বড় মাস হল অক্টোবর। তারা আরও জানিয়েছে, ব্লকচেইনের মধ্যে ব্রিজ হল আরও বড় ঝুঁকি। এদিকে এর আগে এই বছর ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরির ঘটনা ঘটেছিল। বেনস্টক ফার্ম নামের এক প্রজেক্ট থেকে সেই সময় ১৮০ মিলিয়ন ডলারের ক্রিপ্টো কারেন্সি চুরি করা হয়েছিল। তবে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি হ্যাকিং ও চুরির ঘটনা উত্তরোত্তর বাড়তে থাকায় মুশকিলে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা।