Cyber Fraud: গুগল ঘেঁটে কাস্টমার কেয়ার নম্বরে ফোন, নিমেষে ফাঁকা হয়ে গেল অ্যাকাউন্ট!

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Oct 28, 2023 | 11:20 AM

Cyber Crime: গুগলে কাস্টমার কেয়ারের যে নম্বর দেখায়, তাতে ফোন করেন ওই ব্যক্তি। ও'প্রান্ত থেকে ফোনও ধরা হয়। যাবতীয় সমস্যার কথা শুনে কাস্টমার কেয়ারের তরফে একটি রিমোট অ্যাক্সেস অ্যাপ্লিকেশন মোবাইলে ডাউনলোড করতে বলা হয়। এরপরও ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেননি যে প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন তিনি।

Cyber Fraud: গুগল ঘেঁটে কাস্টমার কেয়ার নম্বরে ফোন, নিমেষে ফাঁকা হয়ে গেল অ্যাকাউন্ট!
প্রতীকী চিত্র
Image Credit source: Twitter

Follow Us

মুম্বই: সময় বদলেছে, সেই সঙ্গে বদলেছে প্রযুক্তিও। আধুনিক সময়ে যাবতীয় লেনদেনই অনলাইনে হয়। সামান্য ফোন রিচার্জ থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁর বিল, ঋণের কিস্তি মেটানো-যাবতীয় কাজই অনলাইনে হয়। ডিজিটাল পেমেন্ট যেমন বেড়েছে, তেমনই পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে অনলাইন প্রতারণাও। একটা সামান্য ভুলেই নিমেষে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে অ্যাকাউন্ট। এরকমই এক প্রতারণার শিকার হলেন ৪৭ বছরের এক ব্যক্তি। ফাসট্য়াগ রিচার্জ করতে গিয়ে খোয়ালেন ২.৪ লক্ষ টাকা।

ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নাল্লাসোপারায়। টোল দেওয়ার নতুন পদ্ধতি ফাসট্য়াগই ব্যবহার করতেন ওই ব্যক্তি। গত ১৭ জুলাই ওই ব্যক্তির দূরে একটি গন্তব্যে যাওয়া ছিল, কিন্তু ফাসট্যাগ রিচার্জ শেষ হয়ে যাওয়ায় তাড়াতাড়ি অনলাইনে রিচার্জ করতে যান তিনি। কিন্তু অ্যাপে প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যা হওয়ায় তিনি রিচার্জ করতে পারছিলেন না। নিরুপায় হয়ে তিনি গুগলে সার্চ করেন ফাসট্যাগের কাস্টমার কেয়ারের নম্বর। আর এখানেই হয় বিপদ!

গুগলে কাস্টমার কেয়ারের যে নম্বর দেখায়, তাতে ফোন করেন ওই ব্যক্তি। ও’প্রান্ত থেকে ফোনও ধরা হয়। যাবতীয় সমস্যার কথা শুনে কাস্টমার কেয়ারের তরফে একটি রিমোট অ্যাক্সেস অ্যাপ্লিকেশন মোবাইলে ডাউনলোড করতে বলা হয়। এরপরও ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেননি যে প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন তিনি। ও’প্রান্তের প্রতিনিধির কথা শুনে মোবাইলে ওই অ্যাপটি ডাউনলোড করেন তিনি। ব্যাস, আর দেখে কে! চোখের নিমেষে ওই ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৬ দফায় মোট ২.৪ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়।

টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কেটে দেওয়া হয় ফোন। আবার ফোন করতেই শোনা যায়, এই নম্বরটি বন্ধ! এদিকে অ্যাকাউন্ট থেকে তখনও তুলে নেওয়া হচ্ছে টাকা। কয়েক মিনিটের জন্য হতবাক হয়ে যান ওই ব্যক্তি। পরে যখন হুঁশ ফেরে, সঙ্গে সঙ্গেই থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান তিনি। বন্ধ করে দেন ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেনও। পুলিশের তরফে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা ও তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৬সি ধারায়  অভিযোগ দায়ের করা হয়।

Next Article