নয়া দিল্লি: সম্পত্তি বেচতে পারবেন না অনিল অম্বানি। স্পষ্ট নির্দেশ দিল আদালত। অনিল, ভারত তথা এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ অম্বানির ছোট ভাই। বর্তমানে, মুকেশের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৯,৭৫,৮১৯ কোটি টাকারও বেশি। ছেলে অনন্ত অম্বানির প্রাক-বিবাহের আসরে তাঁর সম্পদের একটা ঝলক দেখা গিয়েছে। বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়িক বাজারে আধিপত্য বিস্তার করছেন মুকেশ। তবে, ছোটভাই অনিল অম্বানি সম্পর্কে এই কথা বলার উপায় নেই। অথচ, অনিল অম্বানি এক সময় বিশ্বের ধনকুবেরদের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে ছিলেন। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১.৮৩ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু, সেই জায়গা থেকে মুখ থুবড়ে পড়েছেন তিনি। কয়েক বছর আগে, অনিল অম্বানি নিজেকে দেউলিয়া বলে ঘোষণা করেছিলেন। সবসময় প্রচারের আলোকবৃত্তে থাকা মানুষটিকে আজকাল খুব একটা প্রকাশ্যে দেখা যায় না। তবে, ফের একবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন অনিল।
অনিল অম্বানির মালিকানাধীন, রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার সংস্থা তাদে সম্পদ বিক্রি করতে পারবে না বলে জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১১০০ কোটি টাকারও বেশি। এই সম্পদ কোনোভাবেই অনিল অম্বানি বিক্রি করতে পারবেন না। ওই সম্পত্তি, অন্য কোথাও স্থানান্তরও করা যাবে না। দিল্লি হাইকোর্ট বলেছে, চিনা সংস্থা ‘সাংহাই ইলেকট্রিক গ্রুপ’-এর সঙ্গে রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারের সালিশি বিরোধের জন্য নিরাপত্তা অর্থ হিসেবে এই ১১০০ কোটি টাকার সম্পদ জমা রাখতে হবে। এর আগে, সাংহাই ইলেকট্রিক অন্তর্বর্তীকালীন ত্রাণ হিসেবে এই সুরক্ষা অর্থ চেয়ে আবেদন করেছিল দিল্লি হাইকোর্টের এক একক বিচারকের বেঞ্চে। ২০২২ সালে একক-বিচারকের বেঞ্চ সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল। রায়টিকে ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করেছিল সাংহাই ইলেকট্রিক। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই এই রায় দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, ‘সাসান পাওয়ার প্রজেক্ট’ নিয়ে সাংহই ইলেকট্রিকের সঙ্গে আইনি বিবাদে জড়িয়েছে অনিল অম্বানির রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার। চলতি বছরের শুরুতে, সিঙ্গাপুর ইন্টারন্যাশনাল কমার্শিয়াল কোর্ট রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারকে, বকেয়া এবং ক্ষতিপূরণ হিসেবে সাংহাই ইলেকট্রিক গ্রুপকে প্রায় ১৪ কোটি ৬০ লক্ষ ডলার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।