নয়া দিল্লি: ২০২৩-এর শেষ লগ্নে ধরা পড়েছিল ৮২০ কোটি টাকার জালিয়াতি। গত বছর, ১০ থেকে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে আইএমপিএস (IMPS), অর্থাৎ, ইমিডিয়েট পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে ইউকো ব্যাঙ্কের (UCO Bank) ৪১,০০০টিরও বেশি অ্যাকাউন্টে ৮,৫৩,০৪৯ বারেরও বেশি লেনদেন হয়েছিল। যার ফলে, ৮২০ কোটি টাকা ইউকো ব্যাঙ্কের ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে স্থানান্তরিত হয়েছিল। কিন্তু, যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি থেকে ওই টাকা পাঠানো হয়েছিল, তাদের থেকে ব্যাঙ্কের ঘরে কোনও টাকা আসেনি। অর্থাৎ, এই ৮২০ কোটি টাকার পুরোটাই ইউকো ব্যাঙ্কের ঘর থেকেই গিয়েছে। এই মামলার তদন্তেই, বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ), রাজস্থান এবং মহারাষ্ট্রের সাতটি শহরের ৬৭টি জায়গায় তল্লাশি চালাল সিবিআই।
সিবিআইয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, “সাতটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের প্রায় ১৪,৬০০টি অ্যাকাউন্ট থেকে আইএমপিএস ইনওয়ার্ড লেনদেনে গুলি ইউকো ব্যাঙ্কের ৪১,০০০টিরও বেশি অ্যাকাউন্টে ভুলভাবে ওই টাকা পাঠানো হয়েছিল। এর ফলে মূল ব্যাঙ্কগুলি থেকে টাকা না কেটেই, ইউকো ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টগুলিতে ৮২০ কোটি টাকা জমা হয়েছে। যারা এই ভুলভাবে আসা টাকা পেয়ে ব্যাঙ্কে ফেরত দেননি, বরং সেই টাকা অ্যাকাউন্টগুলি থেকে তুলে নিয়েছিলেন, এদিন রাজস্থান এবং মহারাষ্ট্রে এই ব্যক্তিদের বিষয়েই অনুসন্ধান চালানো হয়।
সিবিআইয়েপ মুখপাত্র বলেছেন, “এদিনর অভিযানে. ইউকো ব্যাঙ্ক এবং আইডিএফসি ব্যাঙ্ক সম্পর্কিত প্রায় ১৩০টি অপরাধমূলক নথি, সেই সঙ্গে ৪৩টি ডিজিটাল ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে। ডিজিটাল ডিভাইসগুলির মধ্যে রয়েছে ৪০টি মোবাইল ফোন, ২টি হার্ড ডিস্ক এবং ১টি ইন্টারনেট ডঙ্গেল। এই জিনিসগুলি ফরেনসিক বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হয়েছে। উপরন্ত, ৩০ জন সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
বস্তুত, এদিনের তল্লাশি এই মামলার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় দফার তল্লাশি। ২০২৩-এর ডিসেম্বরে, কলকাতা এবং ম্যাঙ্গালোরে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি এবং ইউকো ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সঙ্গে জড়িত ১৩টি জায়গা তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। ইউকো ব্যাঙ্কের অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের নভেম্বরের শেষে, এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল।