নয়া দিল্লি: রেস্তরাঁয় খেতে গেলেই দিতে হয় জিএসটি। এর উপরে আবার হোটেল-রেস্তরাঁগুলি বসাত সার্ভিস চার্জ। একদিকে কর, তার উপর আবার পরিষেবা কর? এতেই আপত্তি ছিল অনেকের। গ্রাহকদের কিছুটা স্বস্তি দিতেই সম্প্রতি ক্রেতা সুরক্ষা দফতর জানিয়েছিল যে, কোনও হোটেল বা রেস্তরাঁ জোর করে গ্রাহকদের কাছ থেকে পরিষেবা কর নিতে পারবে না। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ন্যাশনাল রেস্টুরেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া। মামলার শুনানি এখনও চলছে। এর মাঝেই রেস্তরাঁগুলির তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, রায় ঘোষণা না করা অবধি কি তারা কর নিতে পারবে? উত্তরে জানানো হল, আগামী ৩১ অগস্ট অবধি সার্ভিস ট্যাক্স বা পরিষেবা কর নিতে পারবে হোটেল ও রেস্তরাঁগুলি।
আগামী ৩১ অগস্টই দিল্লি হাইকোর্টে ফের শুনানি রয়েছে হোটেল-রেস্তরাঁর পরিষেবা কর নিয়ে। ততদিন অবধি রেস্তরাঁগুলি পরিষেবা কর নিতে পারবে বলেই জানানো হয়েছে আদালতের তরফে। গত শুনানিতে আদালতের তরফে প্রশ্ন করা হয়েছিল, জিএসটি থাকা সত্ত্বেও রেস্তরাঁগুলি কেন আলাদাভাবে পরিষেবা কর নেওয়া হয়?
হোটেল-রেস্তরাঁয় খেতে গেলেই খাবারের বিলের উপরে ৫ থেকে ১০ শতাংশ পরিষেবা কর বসানো হয়। কিন্তু গ্রাহকরা কনজিউমার ফোরামে এই অতিরিক্ত কর নিয়ে অভিযোগ জানান। তাদের অভিযেগ ছিল যে, কেন্দ্রের নিয়ম অনুযায়ী খাবারের বিলের উপরে জিএসটি দিতে হচ্ছে। তাহলে তারপরও কেন আবার রেস্তরাঁগুলিকে পরিষেবা কর দিতে হবে।
এরপরই গত ২ জুন হোটেল ও রেস্তরাঁগুলির কমিশন ন্যাশনাল রেস্টুরেন্ট অ্য়াসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসে কেন্দ্র। এরপরই কেন্দ্রের তরফে রেস্তরাঁগুলিকে এই বেআইনি কার্যকলাপ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। দুদিন পরই সেন্ট্রাল কনজিউমার প্রোটেকশন অথারিটির তরফেও নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, এবার থেকে খাবারের বিলের উপরে আর পরিষেবা কর বসানো যাবে না। রেস্তরাঁ সংগঠনের তরফে হাইকোর্টে এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা হলে, আদালতের তরফে কেন্দ্রের এই নির্দেশিকার উপরে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়।