No Cost EMI-তে লুকিয়ে থাকে অনেক বাড়তি খরচ, জানেন কি?
Hidden Charges: ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের তথ্য বলছে বিশেষ বিশেষ অফারের সময় ৪টের মধ্যে ৩টে প্রোডাক্টই নো কস্ট ইএমআইতে কেনে সাধারণ মানুষ।

নো কস্ট ইএমআই, যেন মানুষের সাধ্যের বাইরের কিছু কেনার চাবিকাঠি। সাধারণত ইন্সটলমেন্টে কিছু কিনতে গেলে তার জন্য একটা সুদ দিতে হয়। কিন্তু ব্যাঙ্ক বা ঋণ দেয় যে সংস্থা তারা বলে, নো কস্ট ইএমআইতে নাকি কোনও বাড়তি খরচ হয় না। কিন্তু নো কস্ট ইএমআইয়েরও বেশ কিছু এমন খরচ রয়েছে যা চেয়েও এড়ানো যায় না।
ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের তথ্য বলছে বিশেষ বিশেষ অফারের সময় ৪টের মধ্যে ৩টে প্রোডাক্টই নো কস্ট ইএমআইতে কেনে সাধারণ মানুষ। শুনতে খুব ভাল লাগলেও ব্যাঙ্ক কখনও সুদ ছাড়া ঋণ দিতে পারে না। তাহলে আসলে কী ঘটে?
কোনও প্রোডাক্ট নো কস্ট ইএমআইতে নিলে আসলে যা সুদ হয়, সেই সুদের অঙ্কটা পুরোটাই প্রোডাক্টের প্রস্তুতকারী সংস্থা বা যারা বিক্রি করছে তারা দিয়ে দেয়। ফলে গ্রাহককে শুধুমাত্র যা আসল সেই টাকাই দিতে হয়।
কিন্তু খেলা এখানেই শেষ নয়। এই সুদের উপর যা জিএসটি হয়, সেই অর্থ কাটে যিনি ঋণটি নিয়েছেন, তাঁর পকেট থেকেই। এ ছাড়াও প্রসেসিং ফি ও তার উপর আলাদা করে জিএসটি নেয় ব্যাঙ্ক। ফলে, গ্রাহকের ঘাড়ে বাড়তি অনেকগুলো টাকা যোগ হয়। আর এই ঋণ যদি সময়ের আগে কেউ ক্লোজ করে দিতে চায়, তাহলে গ্রাহকের ঘাড়ে চাপে ঋণের ক্লোজিং চার্জ।
