নয়া দিল্লি: গত কয়েক বছরে ভারতের জনপ্রিয়তা পেয়েছে বেশ কিছু চিনা সংস্থার পণ্য, তার মধ্যে অন্যতম শাওমি (Xiomi)। মাস কয়েক আগে সেই সংস্থার বিরুদ্ধে বেআইনি অর্থ লেনদেন নিয়ে অভিযোগ ওঠে। আইন লঙ্ঘন করে চিনে টাকা পাঠানোর অভিযোগ উঠেছিল। সংস্থার ৫ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে ইডি, যা নাকি এযাবৎকালে দেশের মধ্যে সর্বাধিক। এবার এনফোর্সমেন ডিরেক্টরেটের সেই পদক্ষেপকে মান্যতা দিল ‘ফেমা’।
এবার ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট অথরিটি (FEMA)-র তরফে জানানো হল, শাওমির টাকা বাজেয়াপ্ত করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইডি। ওই সংস্থা যে সত্যিই আইন বিরুদ্ধভাবে চিনে টাকা পাঠিয়েছে, তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ভারতের বৈদেশিক লেনদেন সংক্রান্ত নিয়ম নির্দেশ করে এই ফেমা। ইডি-র তরফে জানানো হয়েছে, চিনা সংস্থা শাওমির ভারতের বৈদেশিক লেনদেন সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করেছে।
এই সংস্থা পুরোপুরিভাবে চিনের শাওমি গ্রুপের অধীনস্থ। ২০১৪ সালে এই সংস্থা ভারতে কাজ শুরু করে। পরের বছর থেকেই বিদেশে টাকা পাঠানো শুরু হয়। ইডি একটি বিবৃতি জিয়ে জানিয়েছে, রয়ালটির নাম করে ওই টাকা বিদেশে পাঠানো হত। শুধু তাই নয়, বিদেশে টাকা পাঠানোর সময় ওই সংস্থা ব্যাঙ্ককেও ভুল তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি।
টাকা বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর কর্ণাটক হাইকোর্টে একটি মামলা করেছিল শাওমি। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। ইডির মূল অভিযোগ ছিল, এই তিন বিদেশি সংস্থা থেকে কোনও পরিষেবা নেয়নি শাওমি, তা সত্ত্বেও এই বিপুল টাকা পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকেই সন্দেহের সূত্রপাত। এরপর তদন্ত শুরু করে ইডি।
গত এপ্রিলের ঘটনার পর চিনের সংবাদমাধ্যমে দাবি করে, ভারত চিনা সংস্থাকে হেনস্থা করছে, সেটা বন্ধ হওয়া উচিত। আদালতে শাওমি-র তরফে দাবি করা হয়েছিল, সংস্থার আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় হেনস্থা করা হয়েছে, হুমকিও দেওয়া হয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে ইডি।