নয়া দিল্লি: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine war) আবহে ভারতে বেশ কয়েক দফায় বেড়েছিল পেট্রোপণ্যের দাম। এমতাবস্থায় এবার এক ধাক্কায় প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম (Natural gas prices) প্রায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হল। নির্দেশিকা জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের প্লানিং অ্যান্ড অ্যানালিসিস সেল। এদিকে প্রাকৃতিক গ্যাস থেকেই সিএনজি ও রান্নার গ্যাস তৈরি হয়। ফলে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ফলে অচিরেই এই দুই পেট্রোপণ্যের দামও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকী প্রাকৃতি গ্যাস সার ও ইলেকট্রিসিটি উৎপাদনের কাজেও ব্যবহৃত হয়। এমনকী গাড়ি চালানোর কাজেও এই গ্যাসের বহুল ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, গত একবছরে সিএনজি ও পিএনজি-র দাম প্রায় ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। এখন নতুন করে ফের দাম বৃদ্ধি হলে আম-আদমির উদ্বেগ আরও বাড়বে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বর্তমানে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকা বলছে বর্তমানে দেশের পুরনো গ্যাস ফিল্ড থেকে আহরণ করা গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। আগে পুরনো গ্যাস ফিল্ডে যেখানে ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট থেকে ৬.১ মার্কিন ডলার প্রতি গ্যাস পাওয়া যেত তা এখন বেড়ে হয়েছে ৮.৫৭ ডলার। একইসঙ্গে খানিক দাম বেড়েছে নতুন গ্যাস ফিল্ডের ক্ষেত্রেও।
নতুন গ্যাস ফিল্ডের ক্ষেত্রে রিলায়েন্সে সহযোগী সংস্থা কৃষ্ণা বেসিনের ডি-৬ ব্লকের ক্ষেত্রে দাম ছিল ইউনিট প্রতি ৯.৯২ ডলার। যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.৬ ডলার। তবে এখনও পর্যন্ত দেশে প্রাপ্ত গ্যাসের দুই তৃতীয়াংশ আসে পুরনো গ্যাস ফিল্ড থেকে। সূত্রের খবর, ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের পর থেকে এই নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বাড়ল প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম। প্রসঙ্গত, প্রতি ছয় মাস অন্তর নতুন করে গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে সরকার। একবার ঠিক হয় ১ এপ্রিল, আর একবার হয় ১ অক্টোবর। তবে এ ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং রাশিয়ার মতো দেশগুলিতে প্রাকৃতিক গ্যাসের দামের রদবদলের উপর ভারতের দামের তারতম্য অনেকটা নির্ভর করে থাকে।