হায়দরাবাদ: কয়েক মাস আগে হায়দরাবাদে (Hyderabad) জুবিলি হিলসে গাড়ির মধ্যে ১৭ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল এক দল যুবকের বিরুদ্ধে। তবে ৬ অভিযুক্তের মধ্যে কয়েকজন নাবালক আছে বলে জানা যায়। এমনকী প্রত্যেকেই রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী পরিবারের বলে জানা যায়। যা নিয়ে চাপানউতর তৈরি হয় হায়দরাবাদের রাজনৈতিক মহলেও। যে গাড়িতে এই কাণ্ড ঘটেছিল সেটি এক বিধায়কের বলে জানা যায়। এমনকী ওই বিধায়কের ছেলেও ওই গণধর্ষণের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর ৬ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে শুরুতে জানা গিয়েছিল তাঁদের মধ্যে ১ জন প্রাপ্তবয়স্ক রয়েছেন।
সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের প্রত্যেকের বয়স ছিল ১৬ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। এই মামলায় শুক্রবার বড় রায় দিল হায়দরাবাদের জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড। এই রায়েই স্পষ্ট জানানো হয়েছে জুবিলি হিলস গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত পাঁচ নাবালকের মধ্যে চারজনকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে বিচার করা যেতে পারে। তবে এই মামলায় বিধায়কের ছেলের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র শ্লীলতাহানির মামলা চালানোর অনুমতি দিয়েছে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড। তবে বিচারপ্রক্রিয়া চলবে তাঁকে কিশোর হিসাবে চিহ্নিত করে।
অভিযুক্ত বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪, ৩৭৬ নম্বর ধারা ও পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ঘটনার দিন হায়দরাবাদের অভিজাত এলাকা জুবিলি হিলসের একটি পাবে পার্টিতে গিয়েছিল ওই কিশোরী। সেখানেই তাঁর সঙ্গে আলাপ জমায় অভিযুক্তরা। এমনকী পার্টি শেষে তারা কিশোরীকে গাড়ি করে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। আর তাদের প্রস্তাবে সাড়া দিয়েই বিপদে পড়ে ১৭ বছরের ওই কিশোরী। বাড়ি নিয়ে যাওয়ার নাম করে অন্ধকার নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ওই কিশোরীকে পালা করে করে গণধর্ষণ করে অভিযুক্তরা।