নয়া দিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকার গতকাল (শনিবার) অপরিশোধিত তেলের অন্তঃশুল্ক কমিয়ে ৫.৫ শতাংশ করে দিয়েছে। এই পদক্ষেপে ভোজ্য তেলের দাম কম করতে আর গ্রাহকদের স্বস্তি দেওয়ার জন্য নেওয়া হবে। বিদেশের বাজারে পাম তেলের দাম বাড়ায় ঘরোয়া বাজারেও ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে। যা কম করার জন্যই এই শুল্ক কম করা হল। সরকার এর আগেও দাম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ভোজ্য তেলে আমদানি শুল্ক কম করেছিল। ভারত নিজেদের ভোজ্য তেলের প্রয়োজনের বেশিরভাগ অংশই আমদানির মাধ্যমে পূরণ করে। আমদানিকৃত ভোজ্য তেলের একটা বড় অংশ হল পাম তেল। এই সিদ্ধান্তে গ্রাহকদের স্বস্তি পাওয়ার সম্ভবনা বেড়ে গিয়েছে। প্রতি কুইন্টালে ২৮০ টাকা পর্যন্ত ভোজ্য তেলের দাম কমতে পারে।
একটি আধিকারিক বিবৃতিতে শনিবার জানানো হয়েছে যে অপরিশোধিত পাম তেলের উপর এখন পাঁচ শতাংশ কৃষির পরিকাঠামো উন্নতির উপকর বসানো হবে, যা এখনও পর্যন্ত ছিল ৭.৫ শতাংশ। এই মূল্যহ্রাসের পর অপরিশোধিত তেলের উপর আন্তঃশুল্ক ৮.২৫ শতাংশের জায়গায় হবে ৫.৫ শতাংশ। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন যে এই মূল্যহ্রাসের ফলে দাম প্রতি কুইন্টালে ২৮০ টাকা কমে যাবে। সরকার এর আগে ২০২১ এর অক্টোবরেও ভোজ্য তেলের আমদানি শুল্ক কম করেছিল। ভারত নিজের ৬০ শতাংশের বেশি ভোজ্য তেলের প্রয়োজন আমদানির মাধ্যমে পূরণ করে। ইন্দোনেশিয়া আর মালেশিয়া ভারতের আরবিডি পামোলিন আর অপরিশোধিত পাম তেলের প্রধান সরবরাহকারী।
ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য বাড়ল মজুত সীমা
ভোজ্য তেল আর তৈলবীজের দাম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কেন্দ্র লাগাতার পদক্ষেপ করছে আর তার মধ্যেই সরকার এর জন্য মজুত সীমা বাড়িয়েছে। বুধবারই রাজ্যগুলিকে ভাণ্ডারের সীমার আদেশ চালু করতে বলেছে। কেন্দ্র, রাজ্য সরকারকে বলেছে যে তারা সরবরাহের শৃঙ্খলা আর ব্যবসাকে কোনো বাধা না দিয়ে এই আদেশ লাগু করুক। কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক ৩ ফেব্রুয়ারি ভোজ্য তেল আর তৈলবীজের ভাণ্ডারের সীমা তিন মাস অর্থাৎ ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর আদেশ দিয়েছিল। আদেশে ভাণ্ডার সীমারও উল্লেখ ছিল। মন্ত্রক এই সপ্তাহে সমস্ত রাজ্য আর কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করার জন্য সমীক্ষা করেছিল।
মন্ত্রক নিজের বয়ানে বলেছে, ‘বৈঠক চলাকালীন এই বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে যে রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি যাতে মজুত সীমার আদেশ লাগু করুক। কিন্তু এই আদেশ লাগু করার সময় এটা সুনিশ্চিত করতে হবে যে সরবরাহ শৃঙ্খলা আর ব্যবসায় কোনোরকম বাধা না আসে।’ বয়ানে বলা হয়েছে যে এই পদক্ষেপে অনুচিত ব্যবহার যেমন বেআইনি মজুত, কালোবাজারি আটকানো যাবে। রাজ্যগুলিকে ভোজ্য কেলের বর্তমান আন্তর্জাতিক মূল্যের দৃষ্টিকোণের ব্যাপারেও জানানো হয়েছে। রাজ্যগুলিকে এই বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয়েছে যে আন্তর্জাতিক দাম কীভাবে ভারতীয় বাজারকে প্রভাবিত করছে। ভোজ্য তেলের ব্যাপারে খুচরো ব্যবসায়ীদের জন্য ভাণ্ডারের মজুত সীমা ৩০ কুইন্টাল। থোক ব্যবসায়ীদের জন্য ৫০০ কুইন্টাল আর তাদের ডিপোর জন্য মজুত সীমা ১,০০০ কুইন্টাল। ভোজ্য তেলের বিতরণকারীরা নিজেদের ভাণ্ডারে মজুত ক্ষমতার ৯০ দিনের সমান তেল মজুত রাখতে পারে।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
নয়া দিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকার গতকাল (শনিবার) অপরিশোধিত তেলের অন্তঃশুল্ক কমিয়ে ৫.৫ শতাংশ করে দিয়েছে। এই পদক্ষেপে ভোজ্য তেলের দাম কম করতে আর গ্রাহকদের স্বস্তি দেওয়ার জন্য নেওয়া হবে। বিদেশের বাজারে পাম তেলের দাম বাড়ায় ঘরোয়া বাজারেও ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে। যা কম করার জন্যই এই শুল্ক কম করা হল। সরকার এর আগেও দাম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ভোজ্য তেলে আমদানি শুল্ক কম করেছিল। ভারত নিজেদের ভোজ্য তেলের প্রয়োজনের বেশিরভাগ অংশই আমদানির মাধ্যমে পূরণ করে। আমদানিকৃত ভোজ্য তেলের একটা বড় অংশ হল পাম তেল। এই সিদ্ধান্তে গ্রাহকদের স্বস্তি পাওয়ার সম্ভবনা বেড়ে গিয়েছে। প্রতি কুইন্টালে ২৮০ টাকা পর্যন্ত ভোজ্য তেলের দাম কমতে পারে।
একটি আধিকারিক বিবৃতিতে শনিবার জানানো হয়েছে যে অপরিশোধিত পাম তেলের উপর এখন পাঁচ শতাংশ কৃষির পরিকাঠামো উন্নতির উপকর বসানো হবে, যা এখনও পর্যন্ত ছিল ৭.৫ শতাংশ। এই মূল্যহ্রাসের পর অপরিশোধিত তেলের উপর আন্তঃশুল্ক ৮.২৫ শতাংশের জায়গায় হবে ৫.৫ শতাংশ। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন যে এই মূল্যহ্রাসের ফলে দাম প্রতি কুইন্টালে ২৮০ টাকা কমে যাবে। সরকার এর আগে ২০২১ এর অক্টোবরেও ভোজ্য তেলের আমদানি শুল্ক কম করেছিল। ভারত নিজের ৬০ শতাংশের বেশি ভোজ্য তেলের প্রয়োজন আমদানির মাধ্যমে পূরণ করে। ইন্দোনেশিয়া আর মালেশিয়া ভারতের আরবিডি পামোলিন আর অপরিশোধিত পাম তেলের প্রধান সরবরাহকারী।
ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য বাড়ল মজুত সীমা
ভোজ্য তেল আর তৈলবীজের দাম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কেন্দ্র লাগাতার পদক্ষেপ করছে আর তার মধ্যেই সরকার এর জন্য মজুত সীমা বাড়িয়েছে। বুধবারই রাজ্যগুলিকে ভাণ্ডারের সীমার আদেশ চালু করতে বলেছে। কেন্দ্র, রাজ্য সরকারকে বলেছে যে তারা সরবরাহের শৃঙ্খলা আর ব্যবসাকে কোনো বাধা না দিয়ে এই আদেশ লাগু করুক। কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক ৩ ফেব্রুয়ারি ভোজ্য তেল আর তৈলবীজের ভাণ্ডারের সীমা তিন মাস অর্থাৎ ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর আদেশ দিয়েছিল। আদেশে ভাণ্ডার সীমারও উল্লেখ ছিল। মন্ত্রক এই সপ্তাহে সমস্ত রাজ্য আর কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করার জন্য সমীক্ষা করেছিল।
মন্ত্রক নিজের বয়ানে বলেছে, ‘বৈঠক চলাকালীন এই বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে যে রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি যাতে মজুত সীমার আদেশ লাগু করুক। কিন্তু এই আদেশ লাগু করার সময় এটা সুনিশ্চিত করতে হবে যে সরবরাহ শৃঙ্খলা আর ব্যবসায় কোনোরকম বাধা না আসে।’ বয়ানে বলা হয়েছে যে এই পদক্ষেপে অনুচিত ব্যবহার যেমন বেআইনি মজুত, কালোবাজারি আটকানো যাবে। রাজ্যগুলিকে ভোজ্য কেলের বর্তমান আন্তর্জাতিক মূল্যের দৃষ্টিকোণের ব্যাপারেও জানানো হয়েছে। রাজ্যগুলিকে এই বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয়েছে যে আন্তর্জাতিক দাম কীভাবে ভারতীয় বাজারকে প্রভাবিত করছে। ভোজ্য তেলের ব্যাপারে খুচরো ব্যবসায়ীদের জন্য ভাণ্ডারের মজুত সীমা ৩০ কুইন্টাল। থোক ব্যবসায়ীদের জন্য ৫০০ কুইন্টাল আর তাদের ডিপোর জন্য মজুত সীমা ১,০০০ কুইন্টাল। ভোজ্য তেলের বিতরণকারীরা নিজেদের ভাণ্ডারে মজুত ক্ষমতার ৯০ দিনের সমান তেল মজুত রাখতে পারে।