বইছে রক্তা গঙ্গা। যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণই আপাতত দেখা যাচ্ছে না। ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে ৪ হাজারের বেশি মানুষের। এদিকে যুদ্ধের জেরে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে বড় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে সাড়ে ৪ শতাংশের বেশি। প্রভাব ভারতের বাজারেও। চড়ছে সোনার দাম। প্রভাব পড়ছে দালাল স্ট্রিটেও। বিশেষজ্ঞরা বলছে যুদ্ধ আরও দীর্ঘ হলে শীঘ্রই বড় প্রভাব পড়বে শেয়ার মার্কেটে।
প্রসঙ্গত, ইজরায়েলের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক খুবই ভাল। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারত-ইজরায়েল বাণিজ্যের অঙ্কটা ছিল প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা। বহু ভারতীয় কোম্পানিরই অস্তিত্ব রয়েছে ইজরায়েলে। যুদ্ধের জেরে সেগুলিতে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শেয়ার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সান ফার্মার শেয়ারের দাম কমতে পারে। কারণ এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান ট্যারো ফার্মাসিউটিক্যালস আদপে একটি ইজরায়েল-ভিত্তিক কোম্পানি। হামাস হামলার জেরে তাঁদের ব্যবসার উপর বড় ছাপ পড়তে পারে বলে ইতিমধ্যেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ট্যারো ফার্মা।
ইজরায়েলে হাইফা বন্দর পরিচালনা করে আদানি পোর্টস। যুদ্ধের জেরে চাপে রয়েছে তাঁরাও। বিগত কয়েকদিন ধরেই এই সংস্থার স্টকের নিম্নগতি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। চাপে রয়েছে Tata Consultancy Services (TCS)। সূত্রের খবর, বর্তমানে টিসিএসের হাতে রয়েছে ইজরায়েলের একাধিক বড় প্রজেক্ট। তালিকায় রয়েছে সরকারি প্রজেক্টও। সংস্থার প্রায় ১ হাজার কর্মী রয়েছে ইজরায়েলে।
অন্যদিকে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (IOC), হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এবং ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড-সহ একাধিক তেল বিপণন সংস্থাগুলিও কপালে ঘাম জমতে শুরু করেছে। যুদ্ধের জেরে মধ্যপ্রাচ্য থেকে অপরিশোধিত তেল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার তীব্র আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় এই সংস্থাগুলির শেয়ারও বড় প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিঃ দ্রঃ – এটি একটি শেয়ার বাজার এবং মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ সম্পর্কিত শিক্ষামূলক প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য কখনই বিনিয়োগে উৎসাহিত করা বা মুনাফা কামানোর সহজ উপায় খুঁজে দেওয়া নয়। শেয়ার বাজারের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানানোই এই প্রতিবেদনের অন্যতম লক্ষ্য। উল্লেখ্য, শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ সর্বদাই ঝুঁকিুপূর্ণ।