EPFO: প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তুলে নিচ্ছেন সদস্যরা, সুরক্ষিত ভবিষ্যত কি এবার ভাগ্যের হাতে?
Employees' Provident Fund Organisation: এই পরিসংখ্যানের ঠিক উল্টো পিঠে রয়েছে এক উদ্বেগের ছবি। মূল এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট যেখানে ১৫ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছে, সেখানে আংশিক টাকা তুলে নেওয়ার প্রবণতাও বাড়ছে।

গত ১০ বছরে প্রায় ৫ গুণ বেড়েছে দেশের এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের মোট সঞ্চয়। ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে মোট সঞ্চয়ের পরিমাণ ছিল ৫ লক্ষ ৪৬ হাজার কোটি টাকা। আর সেই পরিমাণই ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকায়। আর এই বিপুল বৃদ্ধি দেশের সংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে।
তবে, এই পরিসংখ্যানের ঠিক উল্টো পিঠে রয়েছে এক উদ্বেগের ছবি। মূল এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট যেখানে ১৫ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছে, সেখানে আংশিক টাকা তুলে নেওয়ার প্রবণতাও বাড়ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে টাকা তুলে নেওয়ার জন্য প্রায় ৩ কোটি ক্লেম জমা পড়েছে।
এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের এই বিপুল সঞ্চয় বৃদ্ধির মূলে রয়েছে দুটি প্রধান কারণ। একদিকে, সংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বাড়ছে আর অন্যদিকে, মজুরি বেড়েছে কর্মীদের। EPFO-র পরিসর বৃদ্ধি, UAN-এর মতো ডিজিটাল ব্যবস্থার প্রচলন এবং একাধিক সরকারি প্রকল্প এই প্রক্রিয়াকে গতি দিয়েছে। গত সাত বছরে ৭ কোটি ৮২ লক্ষ নতুন সদস্য যুক্ত হয়েছেন এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের সিস্টেমে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা স্বল্পমেয়াদী প্রয়োজনে ব্যবহার করার প্রবণতা বেড়েছে। আর সেই প্রবণতার কারণে দীর্ঘমেয়াদে অবসরকালীন সুরক্ষাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে। সঞ্চয়ের প্রতি এই ধরনের অনীহা থাকলে বার্ধক্যের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল থাকবে না। তাই, এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের মূল লক্ষ্য যেটা, সেই অবসর জীবনের সুরক্ষাকে বজায় রাখার মতো পদক্ষেপ করতে হবে। আর সেই দিকে নজর দিতে হবে সরকারকে।
