বিভিন্ন কল্যাণময় প্রকল্পের জন্য সুনাম রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার বেশিরভাগ প্রকল্পই আম জনতার জন্য। এই কারণে ঘরে ঘরে বন্দিতও হন তিনি। সেই তালিকায় অন্যতম প্রকল্প হল স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের সকল সাধারণ নাগরিক বছরে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য পরিষেবার কভারেজ পাবেন। ২০১৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি এই প্রকল্পের বিষয়ে প্রথম ঘোষণা করা হয়েছিল। আর ৩০ ডিসেম্বর সেই প্রকল্পের সূচনা করা হয়। প্রথমে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করলেই এই প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত করা যেত। কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই প্রকল্পকে অবাধ বলে ঘোষণা করেন মুখ্য়মন্ত্রী। অর্থাৎ, রাজ্যের সকল নাগরিকের জন্য খুলে যায় স্বাস্থ্য সাথীর দরজা।
তবে এই প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পেতে শর্ত একটাই। পরিবারে কোনও এক মহিলা সদস্য থাকতে হবে। পরিবারের বয়ঃজ্যেষ্ঠ মহিলা সদস্যের নামেই হবে কার্ডটি। সেখানে বাকি সদস্যের নাম অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই কার্ড পাওয়ার জন্য পরিবারের সদস্য় সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়নি। ২১-র নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে শুরু হয় সকলকে স্বাস্থ্য সাথীর মধ্যে অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া। এই কার্ডের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সমস্ত জটিল রোগের চিকিৎসা বিনামূল্যে ও ক্যাশলেস হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তা ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য পরিষেবা অবধি সীমিত থাকবে।
অনেকেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। কার্ডও হয়ত পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু সেই কার্ডে পরিবারের বাকি সদস্যের নাম কি রয়েছে? বা কার্ড থাকলেও স্বাস্থ্য সাথীর তালিকায় নিজের নাম খুঁজে পাচ্ছেন না? এরকম সমস্যার সমাধানও রয়েছে। স্বাস্থ্য সাথীর অফিসিয়াল পোর্টালে গিয়ে দেখে নিতে পারেন তালিকায় আপনার নাম রয়েছে কি না। কীভাবে দেখবেন তা জেনে নিন।