নয়া দিল্লি: দেশবাসীর নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রধান খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে পড়ে চাল, ডাল, গম। এবার এগুলির দাম বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। অন্যদিকে দেশে আটা ও ডালের মুদ্রাস্ফীতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর প্রধান কারণ, গম ও ডালের উৎপাদন কমে যাওয়া। আবহাওয়ার হেরফেরের জেরে গম ও ডালের বীজ বপণের সময়ও পিছিয়ে গিয়েছে। ফলে জোগান কমে গেলে দাম বৃদ্ধি পেতে পারে।
সূত্রের খবর, এখন পর্যন্ত ৫ শতাংশেরও বেশি কম গমের চাষ হয়েছে। অন্যদিকে, ডাল চাষের পরিমাণ ৮ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। যদিও বৃষ্টির পর এই ঘাটতি পূরণ হবে বলে আশা করছে সরকার। এটা না হলে দেশে আটা ও ডালের দাম বাড়বে। ফলে দেশে মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে।
গম ও ডালের উৎপাদন কমে গিয়েছে
সূত্রের খবর, বৃষ্টির অভাবে রবিশস্যের চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, দেশে গম চাষ কমেছে ৫ শতাংশ। এ বছর এখন পর্যন্ত ১৪১ লাখ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে। যেখানে গত বছর একই সময়ে গম চাষ হয়েছিল ১৪৯ লাখ হেক্টর জমিতে। অন্যদিকে, এবছর ডাল বপনের পরিমাণ কমেছে ৮ শতাংশ। ফলে এবছর ডালের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে কমতে পারে। যার জেরে দেশে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বৃষ্টি থেকে সরকারের আশা
এখন পর্যন্ত গম ও ডালশস্য চাষের জন্য পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয়নি। বৃষ্টি হলেই ঘাটতি পূরণ হবে বলে আশা করছে সরকার। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। ফলে উৎপাদন কম হলে স্বাভাবিকভাবেই দেশে ডাল, গম থেকে আটা ও আটা-ময়দা থেকে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়তে পারে। যার ফলে দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়তে পারে। সম্প্রতি গত কয়েক মাসে টম্যাটো ও পেঁয়াজের মুদ্রাস্ফীতি সাধারণ মানুষের চোখে দল এনে দিয়েছিল। এবার অন্যতম প্রধান দুই খাদ্যশস্যের যদি মুদ্রাস্ফীতি হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই বিপাকে পড়বে সাধারণ মানুষ।