নয়া দিল্লি: বিপদ কখন এসে পড়ে, তা কেউ বলতে পারে না। অনেক সময়ই টাকার প্রয়োজন পড়ে যায় হঠাৎ করে। সেক্ষেত্রে অনেকেই বাধ্য হয়ে ঋণ নেন। তবে পার্সোনাল লোন বা ঋণ পাওয়া কিন্তু অত সহজ নয়। একাধিক শর্ত পূরণ করলে, তবেই ঋণ পাওয়া যায়। তবে বেশ কিছু পন্থা অবলম্বন করলে, ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা অনেকটাই কমে যায়। আপনিও যদি এই শর্তগুলি মেনে চলেন, তবে ঋণ পাওয়ার পথ অনেকটাই সহজ হবে।
যে ব্যাঙ্ক বা সংস্থার কাছ ঋণ নেবেন, তাদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কী কী শর্ত রয়েছে, তা আগে জেনে নেওয়া উচিত। এরমধ্যে বয়স, উপার্জনের সীমা, কর্মসংস্থান সহ একাধিক শর্ত রয়েছে, যেগুলি সম্পর্কে আগে থেকে জেনে নেওয়া জরুরি। এরজন্য আপনি অনলাইনে এলিজিবিলিটি ক্যালকুলেটরে দেখতে পারেন।
অনেকেই নিজের সাধ্যের বাইরে গিয়ে ঋণ নেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে যখন ঋণ পরিশোধ করতে যান, তখন সমস্যায় পড়েন। এই কারণে নিজের আয় ও সাধ্য বুঝেই ঋণ নেওয়া উচিত, যা পরবর্তী সময়ে পরিশোধ করতে আপনাকে সমস্যায় পড়তে হবে না। এতে ঋণ খেলাপি হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকবে।
আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন, তবে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার ক্রেডিট স্কোর কত রয়েছে, তাও যাচাই করে দেখা হয়। সেই কারণেই ভাল ক্রেডিট স্কোর রাখা অত্যন্ত জরুরি। যদি আপনার ক্রেডিট স্কোর ৭৫০ বা তার বেশি হয়, তবে আপনার ঋণ মঞ্জুর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যদি আপনার ক্রেডিট স্কোর কম থাকে, তবে আপনার উচিত, ইএমআই ও ক্রেডিট কার্ডের বিল মিটিয়ে নিজের ক্রেডিট স্কোর শুধরে নেওয়া।
আর্থিক সঙ্কটের সময়ে অনেকেই একাধিক ব্যাঙ্কে ঋণের আবেদন করেন, যাতে যেকোনও একটি ব্যাঙ্ক থেকে সহজেই ঋণ পেয়ে যান। তবে এই কাজ করা একদমই ঠিক নয়। এতে আপনার ক্রেডিট স্কোর ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কারণ প্রত্যেকটি ঋণের আবেদনের প্রেক্ষিতেই ক্রেডিট রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হয়, যা পরবর্তী সময়ে প্রভাব ফেলে।
ঋণ নেওয়ার আগে আপনার আয়-ব্যয়ের হিসাব করা অত্যন্ত জরুরি। প্রতি মাসে আপনার কত টাকা সাংসারিক খরচ হয়, তার হিসাব করে বাকি টাকা থেকে কতটুকু ঋণ পরিশোধ সম্ভব, তার হিসাব কষা উচিত।