রাঁচী: দেশের অন্যতম সফল ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনি। ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সফল ক্যাপ্টেন বলা হয় তাঁকে। তাঁর নেতৃত্বেই টি-২০ ও ওয়ান ডে ক্রিকেটে বিশ্বকাপ পেয়েছে ভারত। বর্তমানে তিনি ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও, ভক্তদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা একই রকমের রয়ে গিয়েছে। ধোনির জীবন নিয়ে ভক্তদের মধ্যে আগ্রহের অন্ত নেই। তবে সবথেকে বেশি যে প্রশ্নটা ভক্তদের মনে জাগে, তা হল-ক্রিকেট থেকে অবসরের পর এখন কী করেন ধোনি?
রাঁচীতে বিশাল খামারবাড়ি রয়েছে ধোনির। সেখানেই এক বিশেষ ব্যবসা করছেন তিনি, যার থেকে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছেন তিনি। কী এই ব্যবসা জানেন? মুরগি প্রতিপালন করছেন তিনি। তবে যে সে মুরগি নয়, কড়কনাথ মুরগি পালন করছেন দেশের ক্রিকেট টিমের প্রাক্তন অধিনায়ক। এর সবথেকে বড় বিষয় হল, এই ব্যবসা শুরুর জন্য কোটি কোটি টাকার প্রয়োজন হয় না, মাত্র কয়েক লাখ টাকা পুঁজি দিয়েই এই ব্যবসা শুরু করা যায়। শহর, গ্রাম-যেকোনও জায়গায় খামার তৈরি করে এই মুরগির চাষ করা যায়, কারণ সর্বত্রই মুরগির চাহিদা রয়েছে।
শীতের মরসুমে ডিমের চাহিদা থাকলেও, গ্রীষ্ম এলেই মানুষের পছন্দ ডিম থেকে বদলে মুরগি হয়ে যায়। অনেকেই দেশি মুরগির মাংস খেতে পছন্দ করেন। এই পরিস্থিতিতে পোলট্রি খামারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা কড়কনাথ মুরগি পালন শুরু করেছেন। এই দেশি মুরগির দাম বেশি, তাই আয়ও অনেক বেশি।
কড়কনাথ মুরগির যেমন চড়়া দাম, তেমনই দাম ডিমেরও। কড়কনাথ মুরগির একটি ডিমের দামই ৫০ টাকারও বেশি। কড়কনাথ মুরগির মাংস বিক্রি হয় ১০০০ টাকা প্রতি কেজিতে। দিল্লি, মুম্বই থেকে শুরু করে কলকাতায় ধীরে ধীরে বাড়ছে কড়কনাথ মুরগির চাহিদা। এমনি পোলট্রি মুরগি পালন করার বদলে কড়কনাথ মুরগি পালন করলে আয় কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।
কড়কনাথ হল এক ধরনের মুরগির প্রজাতি, যা প্রধানত মধ্য প্রদেশে পাওয়া যায়। তবে এখন দেশের অন্যান্য রাজ্যেও পোল্ট্রি ফার্মের কড়কনাথ মুরগি পালন করা হচ্ছে।কড়কনাথ মুরগি খেতেও খুবই সুস্বাদু।