নয়া দিল্লি: আগামী দিনে গোটা বিশ্বের মধ্যে ব্যবসার প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে ভারত। ভারতই বিশ্বের সবথেকে বড় উপভোক্তা বাজার। অর্থাৎ, আমাদের দেশে পণ্য ক্রয় করার লোক অনেক বেশি। এই কারণেই সারা বিশ্বের সংস্থাগুলির নজর এখন ভারতে। সকলেই এখানে ব্যবসা করতে আগ্রহী। ভারত সরকারও সর্বস্তরে এই আগ্রহকেউৎসাহ দিয়ে চলেছে। এখন প্রশ্ন হল, ভারতকে বিশ্বের প্রধান ব্যবসায়িক কেন্দ্রে পরিণত করতে গেলে, আমাদের কী কী চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতেই, দেশের ১ নম্বর নিউজ নেটওয়ার্ক, TV9-এর বার্ষিক সম্মেলন, হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে-র মঞ্চে আসছেন, ‘শর্দুল অমরচাঁদ মঙ্গলদাস অ্যান্ড কর্পোরেশনে’র ম্যানেজিং পার্টনার পল্লবী শ্রফ এবং ‘টিমলিজ সার্ভিসেস লিমিটেডে’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ঋতুপর্ণা চক্রবর্তী।
গত বছর থেকে এই বার্ষিক সম্মেলন শুরু করেছে TV9 নেটওয়ার্ক। এবার, হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে-র দ্বিতীয় সংস্করণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ বিভন্ন জগতের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এই সম্মেলনের মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন। ব্যবসায়িক জগতেরও বহু বিশিষ্ট মানুষ এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। অনেক বিখ্যাত ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট, বিভইন্ন খ্যাতনামা সংস্থার সিএ, সিইও এবং চেয়ারম্যানরাও এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম, শর্দুল অমরচাঁদের ম্যানেজিং পার্টনার পল্লবী শ্রফ। কে তিনি?
শর্দুল অমরচাঁদ মঙ্গলদাস অ্যান্ড কোম্পানির ম্যানজিং পার্টনার তথা ফার্মটির বিরোধ নিষ্পত্তি বিভাগেরর প্রধান, পল্লবী শ্রফ। তিনি ‘কম্পিটিটর ল প্র্যাকটিসে’র প্রধান উপদেষ্টাও বটে। ২০১৫ সালে শর্দুল অমরচাঁদ মঙ্গলদাস অ্যান্ড কোম্পানিতে ম্যানেজিং পার্টনার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তার আগেই এই সংস্থা ভারতের শীর্ষস্থানীয় পূর্ণ পরিষেবা আইন সংস্থা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিল। পল্লবী সংস্থার এই অবস্থানকে আরও মজবুত করেছেন। তাঁর অধীনে, ফার্মটি ১০০ জনেরও বেশি অংশীদার পেয়েছে। শুধু তাই নয়, মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্যও তিনি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। সংস্থায় মহিলাদের জন্য তিনি এক উন্নত কর্ম সংস্কৃতি চালু করেছেন এবং কর্মক্ষেত্রে যে সময়ের সীমাবদ্ধতা থাকে, তা থেকে মুক্তি দিয়েছেন সংস্থার মহিলা কর্মীদের।
অন্যদিকে, ঋতুপর্ণা চক্রবর্তী হলেন টিমলিজ সার্ভিসেসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। এই সংস্থা, ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিষেবা সংস্থা। সংস্থার দৃষ্টিভঙ্গি, ভারতের শক্তিকে কাজে লাগানো। ভারতের তরুণ কর্মশক্তিকে যাতে ছিকভাবে কাজে লাগানো যায়, সেই লক্ষ্যে কাজ করে এই সংস্থা। চাকরির মাধ্যমে, তরুণরা যাতে মজুরির নিরাপত্তা, সামাজিক নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়ার নিরাপত্তা পায়, তা নিশ্চিত করাই সংস্থার কাজ। কর্মচারীদের শ্রম আইন সম্পর্কে অবহিত করা এবং তাদের প্রাপ্য অধিকারের সম্পূর্ণ সুবিধা নিতে উত্সাহদান করার জন্য বিশেষ পরিচিতি রয়েছে ঋতুপর্ণার। ঋতুপর্ণার উদ্যোগেই টিমলিজ সংস্থা ৩০,০০০ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ব্যক্তিকে চাকরি দিয়েছে।