নয়া দিল্লি: একটা নাম, রতন টাটা। এই নামেই গোটা সংস্থাকে চেনে সকলে। শুধু দেশেরই নয়, বিশ্বেরও অন্যতম বড় কনগ্লোবারেট সংস্থা টাটা গ্রুপ। বর্তমানে অনেকে রতন টাটার নামেই টাটা সংস্থাকে চিনলেও, এই সংস্থা আসলে ১৫৫ বছর পুরনো। টাটা গ্রুপের অধীনে রয়েছে টাটা মোটরস, টাটা কনসাল্টেন্সি সার্ভিস, টাটা স্টিল, টাটা কেমিক্যাল সহ একাধিক সংস্থা। কিন্তু এমনও কিছু সংস্থা রয়েছে, যার মালিক যে টাটা গ্রুপ- একথা অনেকেই জানেন না। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এমনই কিছু সংস্থার তালিকা-
ইন্ডিয়ান হোটেলস কোম্পানি বা আইটিসি-র মূল মালিকানাধীন সংস্থা হল টাটা গ্রুপ। আইটিসির হোটেলগুলি আসলে তাজ হোটেলেরই অংশ। ১৯০২ সালে জামসেদজি টাটা এই তাজ হোটেল তৈরি করেছিলেন।
লিটিলউডস ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড হল একটি ক্লোথিং রিটেল কোম্পানি। ১৯৫২ সালে টাটার কসমেটিক্স সংস্থা ল্যাকমে এই সংস্থাকে অধিগ্রহণ করে। বর্তমানে এই জামাকাপড়ের রিটেল দোকান পরিচিত ওয়েস্টসাইড হিসাবে। এটা দেশের সবথেকে বড় ও দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া একটি রিটেল চেইন।
অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন সুপার মার্কেট ডেলিভারি সংস্থা হল বিগবাস্কেট। এটাই ভারতের প্রথম অনলাইন গ্রোসারি বা মুদি সামগ্রীর ওয়েবসাইট ছিল। ২০১১ সালে বিগবাস্কেট যাত্রা শুরু করে। ২০২১ সালে বিগবাস্কেট কিনে নেন টাটা গ্রুপ। সংস্থার ৬৪ শতাংশ শেয়ার টাটা গ্রুপের।
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফ্যাশন ব্রান্ড হল জ়ারা। ভারতে এই সংস্থার রিটেল চেইন খুলতে পারে একমাত্র টাটা গ্রুপ।
কম দামে, ফ্যাশানেবল জামাকাপড়ের জন্য় ইয়ং জেনারেশনের প্রথম পছন্দ জ়ুডিও। এই সংস্থাও টাটা গ্রুপের অধীনস্থ।
ভাল ঘড়ি মানেই চোখ বুজে টাইটানকে ভরসা করেন অনেকে। কিন্তু টাইটান যে টাটা গোষ্ঠীর অধীনস্থ, তা কী জানতেন?
আধুনিক ঘড়ি দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল ফাসট্রাক। বর্তমানে তাদের সানগ্লাস, ব্য়াগ সহ আরও নানা পণ্য পাওয়া যায়। এটিও টাটা গ্রুপেরই অধীনস্থ।
জাগুয়ার বিদেশি গাড়ি হলেও এটির আসল মালিক টাটা মোটরস। ২০০৮ সালে টাটা সংস্থা ফোর্ড সংস্থার কাছ থেকে জাগুয়ার ও ল্যান্ড রোভারের মালিকানা কিনে নেয়।