কলকাতা: করোনা ভাইরাসের মারাত্মক প্রভাবে বিভিন্ন ক্ষেতে ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে। একের পর এক করোনার ঢেউ ব্যবসার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছোট ব্যবসায়ীরা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সব ব্যবসায়ীরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল ঠিকই, কিন্তু করোনা পরবর্তী সময়ে লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি তাদের অনেকটাই আশাহত করেছে। আগামিকালই পয়লা বৈশাখ, নতুন বছরের শুরুটা অনেকেই নতুন সোনার গয়না (Gold Jewelry) দিয়ে করতে চান ঠিকই, তবে এবারের অবস্থাটা খানিকা আলাদা। এবারে সোনার গয়না কেনার চাহিদা প্রায় নেই বললেই চলে। এই তাই ছোট ও মাঝারি স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা যে আশার বুক বেঁধেছিলেন, তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তাই অন্যান্য বার ছোট দোকানগুলিকে ভিড় থাকলেও এবার তা দেখা যাচ্ছে না। তবে বড় সোনার দোকানগুলির অবস্থা ততটা খাপার নয়।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মতে, যেভাবে প্রতিনিয়ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে, তাতে সংসার চালাতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে, সেখানে মধ্যবিত্তদের পক্ষে সোনার গয়না কেনা প্রায় অসম্ভব। যাদের সোনা কেনার সংস্থান রয়েছে, তারাও ঠিক সাহস দেখাতে পারছেন না। অন্যদিকে ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর সোনার দাম ক্রমাগত বাড়ছে। বুধবার কলকাতায় সোনার দাম ১ হাজার ৬৫০ টাকা বেড়ে ৫৩ হাজার ৭৫০ টাকা হয়েছে। গয়নার চাহিদা কমায় শুধু স্বর্ণ ব্যবসায়ীরাই নয়, গয়নার কারিগররাও সমস্যার মধ্যে পড়েছে। চাহিদা কম থাকার কারণে তারা কাজ পাচ্ছেন না।
ধুঁকতে থাকা সোনার বাজার নিয়ে ছোট স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের একাংশ মনে করছেন, পয়লা বৈশাখের দিন ব্যবসা একদমই খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের অনেকের মতে ব্যবসা প্রায় হচ্ছেই না, আগামী দিনে পরিস্থিতি কোনদিকে যাবে তা ভেবেই অনেকে আতঙ্কিত হচ্ছেন। ব্যবসায়ীদের মতে, আগে পয়লা বৈশাখের দিন ডেলিভারি দেওয়ার জন্য অনেকেই সোনার গয়না তৈরি করার অর্ডার দিতেন, কিন্তু বর্তমানে সেই অর্ডারের সংখ্যা প্রায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। অর্ডার কম পাওয়ার পিছনে সোনার মূল্যবৃদ্ধি এবং নিত্য নৈমিত্তিক জিনিসের মূল্যবৃদ্ধিকেই দায়ী করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন SBI Home Loan: স্বপ্নের বাড়ি চান? কম ঋণে হোম লোন দিচ্ছে এই ব্যাঙ্ক! জেনে নিন বিশদে…