নয়া দিল্লি: সামনেই বিয়ের মরশুম। নভেম্বর মাস থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারি অবধি একটানা প্রচুর বিয়ের লগ্ন। আর বিয়ে মানেই তো সোনার গহনা। প্রতি বছরই বিয়ের মরশুমে সোনার ব্য়বসায় ব্যাপক কেনাকাটা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর সোনার দাম বেশ অনেকটা চড়া। তারপরও ধনতেরাস বা অন্যদিনে সোনার দোকানগুলিতে ভিড় কিন্তু চোখে পড়ার মতো। আর স্বর্ণ ব্যবসায়ীরাও বলছেন, এটাই সোনা কেনার আদর্শ সময়। কেন জানেন?
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই লগ্নির বাজারে অনিশ্চয়তা। বিনিয়োগকারীরা সুরক্ষিত বিনিয়োগ হিসেবে সোনার দিকে বেশি ঝুঁকছেন। ফলে সোনার দাম ক্রমশ চড়ছে। আগামিদিনে এই দাম আরও বাড়বে। এই আশঙ্কায় এখনই সোনার দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। কিন্তু বিক্রেতাদের আশঙ্কা, দাম আরও বাড়লে এই ভিড়টা উধাও হয়ে যাবে। তখন আর ব্যবসা হবে না, কারণ সামনে এখন আর সোনার দাম কমার কোনও সম্ভাবনাই নেই।
৬০ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে সোনার দাম। ১০ গ্রাম হলমার্ক সোনা কিনতে মেকিং চার্জ, জিএসটি মিলিয়ে গুনতে হচ্ছে লাখ টাকা। আগামিদিনে দাম কমবে কি আদৌ? না, বরং দাম আরও বাড়বে, সেই সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে রোজই। এতে কপালের ভাঁজ চওড়া হচ্ছে মধ্যবিত্তের। দাম বাড়ার আশঙ্কায় কার্যত পকেটের পয়সা সাশ্রয় করতে এখনই তারা ছুটে যাচ্ছেন সোনার দোকানে। বাড়ছে সোনার দোকানের ভিড়। স্বর্ণ ব্যাবসায়ীরাও মনে করছেন আগেভাগে সোনা কিনে রাখাই ভাল।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কথায়, বিগত কয়েক বছর ধরেই হু হু করে বাড়ছে সোনার দাম। আর সোনা এমন এক ধাতু, যার দাম ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। এর উপরে বৈশ্বিক নানা কারণও রয়েছে, যার কারণে সোনার দামে প্রভাব পড়ছে। তাই যাদের আগামী এক-দু বছরে বিয়ে, বা হাতে কিছু টাকা রয়েছে, তাদের এখনই সোনা কেনা উচিত। ভবিষ্যতে হয়তো নাগালের বাইরে চলে যাবে সোনার দাম।
সোনার দাম বৃদ্ধির পিছনে একটা বা দুটো নয়, একাধিক কারণ রয়েছে৷ এর মধ্যে গ্লোবাল ব্যাঙ্কিং সঙ্কট অন্যতম একটি কারণ ৷ আমেরিকার একাধিক ব্যাঙ্ক এক সঙ্গে আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে ৷ এর জেরে সোনার দাম হু হু করে বাড়তে চলেছে ৷ যার প্রভাব সরাসরি স্বর্ণ ব্যবসায়। এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের জেরেও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রভাব পড়ছে। বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি নিতে চাইছেন না।