বাণিজ্য
ব্যবসা অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। এই ব্যবসার মাধ্যমেই অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ঘটে চলে সমাজে। গোটা বিষয়টির বিভিন্নতা প্রচুর। ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ – ব্যবসার পরিধি খুবই বিস্তৃত। তাই এককথায় ব্যবসাকে সংজ্ঞায়িত করা বেশ কঠিন কাজ। মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে উৎপাদন, বণ্টন এবং এই সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যাবলীকে এককথায় ব্যবসা বলা যেতে। বিভিন্ন পণ্যের অর্থনৈতিক কার্যাবলী হিসাবে ব্যবসার প্রকারভেদ রয়েছে। তেমন ব্যবসার মালিকানার উপর ভিত্তি করেও ভিন্নতা হয়। ব্যবসা ব্যক্তি মালিকানাধীন, সংস্থার অধীন বা রাষ্ট্রের অধীনস্ত হতে পারে। সংস্থার আকারেও প্রচুর বৈচিত্র্য। ব্যবসার সঙ্গে অথনৈতিক মাপকাঠি যেমন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে থাকে, তেমন এর সামাজিক প্রভাবও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে ব্যবসা মানেই যে তা পণ্য সংক্রান্ত হতে হবে, তার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। ব্যবসা পরিষেবা সংক্রান্তও হতে পারে।
মুনাফা অর্জন যে ব্যবসার প্রাথমিক লক্ষ্য, সে বিষয়ে কোনও দ্বিধার জায়গা নেই। তাই বলে লাভই একমাত্র উদ্দেশ্য এমনও নয়। সমাজসেবার উদ্দেশ্যও ব্যবসা পরিচালিত হতে পারে। যদিও সেই ধরনের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতেও লাভ করতে হয়। তাই সম্পদ বৃদ্ধি হোক বা চ্যারিটি, প্রফিটের সঙ্গে বিজনেস বা ব্যবসার নিবিড় সম্পর্ক।