AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

BGBS 2025: বিশ বাঁও জলে তাজপুর বন্দর! ‘ক্ষত’ সঙ্গী করেই নতুন বাণিজ্য সম্মেলনের দিনক্ষণ ঘোষণা রাজ্যের

BGBS 2025: ফেব্রুয়ারির ৫ ও ৬ তারিখ চলবে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন। সেখানে যোগ দিতে চলেছে ২০টি দেশ। সেই বৈঠক থেকেই রাজ্যে AI হাব তৈরির ঘোষণা করতে পারে ITC ইনফোটেক।

BGBS 2025: বিশ বাঁও জলে তাজপুর বন্দর! 'ক্ষত' সঙ্গী করেই নতুন বাণিজ্য সম্মেলনের দিনক্ষণ ঘোষণা রাজ্যের
আর্কাইভ ছবিImage Credit: Debajyoti Chakraborty/NurPhoto via Getty Images
| Edited By: | Updated on: Jan 28, 2025 | 2:48 PM
Share

কলকাতা: এখনও ঝুলে তাজপুর। তার মধ্যেই আগামী মাসে নিউটাউনে আসর বসবে শিল্প সম্মেলনের। ফেব্রুয়ারির ৫ ও ৬ তারিখ চলবে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন। সেখানে যোগ দিতে চলেছে ২০টি দেশ। সেই বৈঠক থেকেই রাজ্যে AI হাব তৈরির ঘোষণা করতে পারে ITC ইনফোটেক। এছাড়াও, সেমিকন্ডাক্টর, বস্ত্র ও চর্ম শিল্পেও বিশেষ নজর দিতে চলেছে রাজ্য। কিন্তু বিনিয়োগের পরিমাণ ঠিক কতটা হবে সেই নিয়ে এখনও কাটেনি ধোঁয়াশা।

এদিন নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি চূড়ান্ত তালিকা তৈরির কাজে লেগে পড়েছে আধিকারিকরা। কোন কোন সেক্টরে বিনিয়োগে বাড়তি জোর দেবে রাজ্য, সেই বিষয়গুলিকে মাথায় রেখেই তৈরি করা হচ্ছে এই তালিকাটি। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, আসন্ন বিজিবিএস-এর মাধ্যমে মূলত সেমিকন্ডাক্টর ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সেক্টরেই জোর দিতে চায় রাজ্য সরকার।

গত বছরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সফরে গিয়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনার পর কলকাতায় সেমিকন্ডাক্টর হাবের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চলতি শিল্প সম্মেলনে সেই হাব তৈরিতেই বাড়তি গুরুত্ব দিতে চায় রাজ্য।

সময় বদলায়, বদলায় তারিখ, বছর কাটে কিন্তু কাটে না তাজপুর বন্দরের জট। প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনা শুরুর পর কেটে গিয়েছে একটা দশকের উপর। ২০২২ সালে গ্লোবাল টেন্ডারের ঘোষণা পর রাজ্য সরকারকে বন্দরে কাজ করার ইচ্ছাপত্র বা লেটার অব ইনটেন্ট জমা দিয়েছিল আদানি গোষ্ঠী। কিন্তু এতটা সময় কাটিয়েও যেন এখনও বিশ বাঁও জলে সেই সমুদ্র বন্দর প্রকল্প। নেপথ্যে কোন কারণ?

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, জমি জটেই রুখে গিয়েছে তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্পের কাজ। ইচ্ছাপত্র দেওয়ার পর তাজপুরের সাইট অফিসে একাধিকবার পর্যবেক্ষণ করতে এসেছিলেন আদানি গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা। বন্দরের মাটির পরীক্ষা, এলাকার মাপযোগ-সহ একাধিক কাজই সেরে ফেলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু এত পরীক্ষানিরিক্ষার পরে আপাতত সেই সাইট অফিসেই ঝুলছে তালা। তীরবর্তী এলাকায় বন্দর তৈরিতে ঠিক যতটা জমি প্রয়োজন, সবটাই স্থানীয় মালিকানাধীন। এবার রাজ্য সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত সেই জমি কিনে আদানিদের হাতে তুলে দিচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত অনিশ্চিত হয়েই পড়ে থাকবে তাজপুর বন্দর প্রকল্প, দাবি একাংশের।