কলকাতা: সোনা কিনতে কে না পছন্দ করেন? কিন্তু ডিজাইন দেখে গহনা কিনলেই তো হল না, তার গুণমান সম্পর্কেও সচেতন থাকা দরকার। কারণ সোনা হল আজীবনের বিনিয়োগ। ক্রমাগত সোনার দাম বেড়ে চলছে। শুধু অলঙ্কার হিসাবেই নয়, বিপদের সময়ে ত্রাতা হয়ে উঠতে পারে সোনা। তবে এখন সোনার দোকানে গেলে গহনা বিক্রেতারা নানা ধরনের সোনার গহনা দেখান। ১৪ ক্য়ারেট, ১৮ ক্যারেট, ২২ ক্যারেটের সোনার গহনা পাওয়া যায় এখন। এই ক্যারেটের তফাত কেন জানেন? এই সোনার পার্থক্যটাই বা কোথায়?
সবথেকে বিশুদ্ধ সোনা হল ২৪ ক্যারেটের। এটি নিখাদ সোনা হয়। তবে ২৪ ক্যারেটের সোনা দিয়ে গহনা তৈরি করা যায় না। সোনার গহনা তৈরি হয় ২২ ক্যারেটের সোনা দিয়ে। এছাড়া বর্তমানে ১৮ ও ১৪ ক্যারেটের সোনা দিয়েও গহনা তৈরি হয়। এই ২২ ক্যারেট, ১৮ ক্যারেট ও ১৪ ক্যারেটের সোনার গহনার পার্থক্য কী জানেন?
২২ ক্যারেটের সোনা উজ্জ্বল সোনালি রঙের হয়। ১৮ ক্যারেটের সোনা কিছুটা কম উজ্জ্বল হয়। ১৪ ক্যারেটের সোনার রঙ কিছুটা লালচে বা গোলাপি রঙের হয়।
২২ ক্যারেটের সোনায় ৯১.৭০ শতাংশ সোনা থাকে, ৫ শতাংশ রুপো, ২ শতাংশ তামা ও ১.৩০ শতাংশ জিঙ্ক।
১৮ ক্য়ারেটের সোনায় ৭৫ শতাংশ সোনা থাকে, ১৫ শতাংশ রুপো ও ১০ শতাংশ তামা থাকে।
১৪ ক্যারেটের সোনায় ৫৮.৩০ শতাংশ সোনা থাকে, ৩০ শতাংশ রুপো ও ১১.৭০ শতাংশ তামা থাকে।