নয়া দিল্লি : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর দেশীয় বাজারে আকাশ-ছোঁয়া ভোজ্য তেলের দাম। এর উপর আবার সঙ্গী পাম তেল রপ্তানিতে ইন্দোনেশিয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি। এর ফলে তেল কিনতে মধ্য়বিত্তের জীবন নাজেহাল হয়ে উঠেছে। সূত্রের খবর, এই আবহে নির্দিষ্ট কিছু ভোজ্য তেলের উপর করের পরিমাণ কমানো হতে পারে কেন্দ্রের তরফে। তবে এই বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে পরিষ্কার করে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে অপরিশোধিত পাম তেলের উপর আমদানি শুল্ক বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে ভোজ্য় তেল কিনতে কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে মধ্যবিত্তদের।
উল্লেখ্য়, বিশ্বে সর্বাধিক ভোজ্য তেল আমদানি করে ভারত। দেশের প্রয়োজনের প্রায় ৬০ শতাংশ ভোজ্য তেল আমদানি করা হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে বাড়তে থাকা দামে নাজেহাল দেশের জনজীবন। গত দু’বছর ধরে এমনিতেই কোভিডের কারণে নাজেহাল মধ্য়বিত্তদের জীবন। এর উপর বাড়তে থাকা নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দামে পকেটে ছ্যাঁকা লাগছে সাধারণ মানুষের। এই পরিস্থিতিতে আবার রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের অল্পসল্প কোপ পড়েছে ভারতীয় বাজারেও। এদিকে সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়া থেকে পাম তেলের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সেদেশের তরফে। এর ফলে ভারতীয় বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের তরফে নমনীয় পদক্ষেপ ভারতীয়ের হেঁশেলে স্বস্তি নিয়ে আসবে তা বলাই বাহুল্য। সূত্রের খবর, অপরিশোধিত ক্যানোলা তেল, অলিভ তেল, রাইস ব্র্যান তেল ও পাম কার্নেল তেলের উপর আমদানি শুল্ক কমিয়ে আনতে পারে সরকার। আমদানি শুল্কের পরিমাণ ৩৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ করে দেওয়া হতে পারে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, অপরিশোধিত পাম তেলের আমদানিতে কৃষিজ পরিকাঠামো ও উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ সেস ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনা হতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সেই শুল্কের পরিমাণ কত হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। উল্লেখ্য়, অতীতেও কেন্দ্রের তরফে তেলের দাম কমানোর প্রচেষ্টা দেখা গিয়েছে। সেই লক্ষ্যে পাম তেল, সয়াবিন তেল ও সূর্যমুখী তেলের উপর আমদানি শুল্ক কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এইবার কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে কোনও মধ্যবিত্তের হেঁশেলের আগুন আদৌ নেভে কিনা তাই দেখার।