নয়া দিল্লি: দেশে প্রতিনিয়ত মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) বাড়ছে। ফলে সাধারণ মানুষকে নানান সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বাড়ছে। বর্তমানে ভোজ্যতেলের দামের পাশাপাশি ডালের দামও ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের পকেটে বোঝা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে দেশে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র (Central Government)।
সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং খাদ্যদ্রব্যের দাম কমাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকার ব্যবসায়ী ও মজুতদারদের উপর কঠোর পদক্ষেপ করছে। ডাল সহ বিভিন্ন সামগ্রী মজুতের উপর সীমা আরোপ করা হয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীরা ওই সীমার বেশি খাদ্যসামগ্রী সংরক্ষণ করতে পারবেন না। এর জন্যই দেশে আটা, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনির দাম কমেছে। একইসঙ্গে ভোজ্যতেল কোম্পানিগুলিকে দাম কমানোর নির্দেশও দিয়েছে সরকার। তার ফলে ১ মাসে ১৫ থেকে ২০ টাকা দাম কমিয়েছে তেল কোম্পানিগুলি। এতে সাধারণ মানুষ অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছেন। এর পাশাপাশি চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিক্রির কোটা বাড়িয়েছে সরকার। একইভাবে গম ও আটার দামও আগের তুলনায় কমেছে।
কোন দ্রব্যের কত দাম কমেছে জেনে নিন
১) এক মাস আগে সর্ষের তেল ছিল লিটার প্রতি ১৫০ টাকা, যা এখন লিটারে ১৪৭ টাকা।
২)সয়াবিন তেল এক মাস আগে প্রতি লিটার ছিল ১৩৭ টাকা, যা এখন প্রতি লিটার ১৩৩ টাকা।
৩) পাম তেলের দাম লিটার প্রতি ১০৯ থেকে ১০৬ টাকায় নেমে এসেছে।
৪) বনস্পতি তেলের দাম প্রতি লিটার ১৩২ টাকা, এর দামে কোনও পরিবর্তন নেই।
৫) সূর্যমুখী তেল ১১ টাকা কমে ১৪৪ টাকা থেকে লিটার প্রতি ১৩৩ টাকা হয়েছে।
৬) অড়হর ডাল প্রতি কেজি ১১৭ টাকা থেকে ১২৩ টাকায় নেমে এসেছে।
৭) মুগ ডাল অপরিবর্তিত রয়েছে প্রতি কেজি ১১০ টাকায়।
৮) মুসুর ডাল প্রতি কেজি ১০৮ টাকা।
৯) আবার ময়দা প্রতি কেজি ৩৪ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে এবং চিনির দামে প্রতি কেজি ৪২ টাকা। যদিও চিনির দামে কোনও পরিবর্তন হয়নি।