নয়া দিল্লি: অনেকেই বলেন, শ্যাম্পুর স্যাশে কেনার থেকে শ্যাম্পুর বোতল কিনলে লাভ হয় বেশি। আপনি কি কখনও এর সত্যতা পরীক্ষা করেছেন? একটি শ্যাম্পুর পাউচ বা ২ টাকার প্যাকেটই কিন্তু আপনাকে বড়লোক করে দিতে পারে। ভারতের অধিকাংশ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কম। তাই, অনেক দেশি-বিদেশি সংস্থা তাদের পণ্যগুলি পাউচ আকারে বিক্রি করে। এর পিছনে কৌশল হল, বেশি দাম দিয়ে কেউ তাদের পণ্য কিনতে না পারলে, অল্প দামের পাউচ অবশ্যই কিনবে। বাজারে গেলে আপনি এক টাকা, দু’টাকা, পাঁচ টাকা বা ১০ টাকার প্যাকিংয়ে অসংখ্য জিনিস পাবেন। শ্যাম্পুর স্যাশের ক্ষেত্রে সংস্থাগুলির এই কৌশলটি কিন্তু আপনার জন্য লাভজনক হতে পারে। বিশ্বাস হচ্ছে না তো? আসুন বিষয়টি উদাহরণ-সহ বুঝে নেওয়া যাক –
ধরুন, আপনি ডাভ (Dove) সংস্থার শ্যাম্পুর একটি ২ টাকার স্যাশে কিনেছেন। এই ২ টাকার স্যাশেতে আপনি ৫.৫ মিলিলিটার শ্যাম্পু পাবেন। অর্থাৎ, এক মিলিলিটার শ্যাম্পুর দাম পড়বে প্রায় ৩৬ পয়সা করে। এবার, একই ব্র্যান্ডের এক লিটার অর্থাৎ ১০০০ মিলিলিটার শ্যাম্পুর বোতলের দাম দেখুন। এর এমআরপি প্রায় ১০০০ টাকা। এমনকি আপনি যদি পাইকারি দোকান বা অনলাইনে সেটি কেনেন, তাও আপনি এই বোতল পাবেন প্রায় ৭০০ টাকায়। অর্থাৎ, এই ক্ষেত্রে একই শ্যাম্পুর দাম পড়ছে মিলিলিটার প্রতি ৭০ পয়সা করে।
অর্থাৎ, একই শ্যাম্পু আপনি বোতলে কিনলে পাচ্ছেন প্রায় দ্বিগুণ দামে। অর্থাৎ, ২ টাকার শ্যাম্পুর প্রতিট পাউচে আপনি ৩৫ পয়সা করে বাঁচাতে পারবেন। প্রতিদিনই আপনি অল্প অল্প করে অর্থ সঞ্চয় করতে পারবেন। সাধারণত, সংস্থাগুলি এটা অনুমান করে নেয় যে, শ্যাম্পুর বোতলটি যিনি কিনছেন তিনি ধনী। আর ২ টাকার পাউচ কিনছেন মধ্যবিত্ত-নিম্নিত্ত মানুষ। এই কারণেই মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত জনগোষ্ঠীর কথা মাথায় রেখে সস্তার পাউচ তৈরি করা হয়। একই পণ্যের জন্য দুটি ভিন্ন মূল্য স্থির করে সংস্থাগুলি।
তাহলে বোতল কিনে কি লাভ? শ্যাম্পুর বোতল কেনাটাও অন্যদিক থেকে উপকারী। পাউচের কারণে প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়। বোতল ব্যবহার করলে প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ সীমিত থাকে। একই সময়ে, পাউচের তুলনায় বোতলটি পুনর্ব্যবহার করা সহজ। কাজেই, পরিবেশের দিক থেকে শ্যাম্পুর বোতল কেনা একটি পাউচ বা স্যাশে কেনার থেকে ভাল।