Coal Production: কয়লা উৎপাদন বাড়াতে যথাসম্ভব প্রচেষ্টা, এপ্রিল থেকে নভেম্বরে উৎপাদন বাড়স ৯ শতাংশ- কয়লামন্ত্রক

TV9 Bangla Digital | Edited By: Shubhendu Debnath

Feb 11, 2022 | 10:37 PM

Coal Production: কয়লা ক্ষেত্রের উন্নতিতে কয়লার ঘরোয়া উৎপাদন ৯.০১ শতাংশ বেড়েছে। সবমিলিয়ে চলতি অর্থবর্ষে নভেম্বর পর্যন্ত কয়লার উৎপাদন বেড়ে ৪৪.৭৫৪ কোটি টন হয়েছে যা ২০১৯-২০-র এই সময় পর্যন্ত ছিল ৪১.০৫৫ কোটি টন।

Follow Us

নয়া দিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকার বুধবার জানিয়েছে কয়লা উৎপাদন (Coal Production)বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি (coal import) উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। সেই সঙ্গে সরকার আরও বলেছে যে দেশে কয়লা উৎপাদন আরও বাড়ানোর জন্য যথাসম্ভব প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। কয়লামন্ত্রক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘সরকার দেশে কয়লা উৎপাদনকে আরও বাড়তে যথাসম্ভব উপায় করছে। অতিরিক্ত কয়লা সরবরাহে জীবাশ্ম ইন্ধনের আমদানি কমবে।’ তবে অন্যদিকে ট্রেড ইউনিয়ন ইনট্যাক (INTUC) জানিয়েছে যে বেশকিছু ক্ষেত্রের ক্যাপ্টিভ পাওয়ার প্লান্টে কয়লার অভাব রয়েছে আর শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বেশকিছু ক্ষেত্রে পাওয়ার প্লান্ট বন্ধ হওয়ার মুখে রয়েছে। ইউনিয়নের বক্তব্য অনুযায়ী, স্টিল আর অ্যালুমিনিয়ম ক্ষেত্রে পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। তবে সরকার পরিস্কার করে দিয়েছে যে দেশে কয়লার কোনও সমস্যা নেই।

৯ শতাংশ বেড়েছে ঘরোয়া উৎপাদন

কয়লা ক্ষেত্রের উন্নতিতে কয়লার ঘরোয়া উৎপাদন ৯.০১ শতাংশ বেড়েছে। সবমিলিয়ে চলতি অর্থবর্ষে নভেম্বর পর্যন্ত কয়লার উৎপাদন বেড়ে ৪৪.৭৫৪ কোটি টন হয়েছে যা ২০১৯-২০-র এই সময় পর্যন্ত ছিল ৪১.০৫৫ কোটি টন। বয়ানে বলা হয়েছে যে অর্থবর্ষ ২০২০-২১ কে তুলনা বর্ষ হিসেবে দেখা হয়নি। এর কারণ কোভিড মহামারী আটকাতে জারি নিষেধাজ্ঞায় শিল্প উৎপাদন গভীরভাবে প্রভাবিত হওয়া। বয়ানে বলা হয়েছে, ‘কয়লার ঘরোয়া উৎপাদন বাড়ায় বিদ্যুতের চাহিদা বাড়া সত্ত্বেও এই ইন্ধনের আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।’ কয়লা নির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলির উৎপাদন নভেম্বর ২০২১ এ ছিল ৬৭১.৯১ হাজার লক্ষ ইউনিট। যা অর্থবর্ষ ২০১৯-২০-তে উৎপাদন হওয়া ৬৩৮.৮২ হাজার লক্ষ ইউনিটের তুলনায় ৫.১৭ শতাংশ বেশি।

আমদানিকৃত কয়লা দ্বারা উৎপন্ন বিদ্যুৎ, ২০১৯ এর এপ্রিল-নভেম্বরের মধ্যে ৬১.৭৮ হাজার লক্ষ ইউনিট ছিল। এটি ২০২১-২২ এর একই সময়সীমায় ৫১.৩৮ শতাংশ কমে ৩০.০৪ হাজার লক্ষে নেমে এসেছে। সমস্ত স্তরের নন কোকিং কয়লার আমদানি চলতি অর্থবর্ষে এপ্রিল থেকে নভেম্বরে মধ্যে ১৮.৩৬ শতাংশ কমে ১০.৭৪ কোটি টন থেকেছে, যা ২০১৯-২০-র একই সময়সীমা পর্যন্ত ছিল ১৩.১৫ কোটি টন। সবমিলিয়ে কয়লার আমদানি আলোচ্য সময় পর্যন্ত প্রায় ১১.১৩ শতাংশ কমে হয়েছে ১৪.৭১ কোটি টন।

দেশে কয়লার সমস্যা নেই

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার পরিস্কার করে দিয়েছে যে দেশে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লার কোনো সমস্য নেই। এর মধ্যে সরকার সোমবার দিন জানিয়েছে যে থার্মাল কয়লার চাহিদা পূরণ করার জন্য আমদানির উপর দেশের নির্ভরতা দ্রুতগতিতে কমেছে আর জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে আগামি অর্থবর্ষে এই চাহিদা কোল ইন্ডিয়া, সিঙ্গরেনী কোলিয়ারিজ কোম্পানি লিমিটেড আর ক্যাপ্টিভ খনিগুলি থেকে পূরণ করা হবে। বিদ্যুতমন্ত্রক ২০২২-২৩ এর জন্য কয়লা নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ৭২৭ লক্ষ কোটি টন ঘরোয়া কয়লার প্রয়োজন হওয়ার অনুমান করেছে। কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি সোমবার বলেছেন, দেশে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লার কোনো অভাব নেই। ২০২১ এও, নিকাশির কিছু কারণের জন্য থার্মাল পাওয়ার প্লান্টগুলিতে কয়লার মজুত কম হয়েছিল, কিন্তু দেশে পর্যাপ্ত কয়লা ছিল।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

নয়া দিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকার বুধবার জানিয়েছে কয়লা উৎপাদন (Coal Production)বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি (coal import) উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। সেই সঙ্গে সরকার আরও বলেছে যে দেশে কয়লা উৎপাদন আরও বাড়ানোর জন্য যথাসম্ভব প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। কয়লামন্ত্রক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘সরকার দেশে কয়লা উৎপাদনকে আরও বাড়তে যথাসম্ভব উপায় করছে। অতিরিক্ত কয়লা সরবরাহে জীবাশ্ম ইন্ধনের আমদানি কমবে।’ তবে অন্যদিকে ট্রেড ইউনিয়ন ইনট্যাক (INTUC) জানিয়েছে যে বেশকিছু ক্ষেত্রের ক্যাপ্টিভ পাওয়ার প্লান্টে কয়লার অভাব রয়েছে আর শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বেশকিছু ক্ষেত্রে পাওয়ার প্লান্ট বন্ধ হওয়ার মুখে রয়েছে। ইউনিয়নের বক্তব্য অনুযায়ী, স্টিল আর অ্যালুমিনিয়ম ক্ষেত্রে পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। তবে সরকার পরিস্কার করে দিয়েছে যে দেশে কয়লার কোনও সমস্যা নেই।

৯ শতাংশ বেড়েছে ঘরোয়া উৎপাদন

কয়লা ক্ষেত্রের উন্নতিতে কয়লার ঘরোয়া উৎপাদন ৯.০১ শতাংশ বেড়েছে। সবমিলিয়ে চলতি অর্থবর্ষে নভেম্বর পর্যন্ত কয়লার উৎপাদন বেড়ে ৪৪.৭৫৪ কোটি টন হয়েছে যা ২০১৯-২০-র এই সময় পর্যন্ত ছিল ৪১.০৫৫ কোটি টন। বয়ানে বলা হয়েছে যে অর্থবর্ষ ২০২০-২১ কে তুলনা বর্ষ হিসেবে দেখা হয়নি। এর কারণ কোভিড মহামারী আটকাতে জারি নিষেধাজ্ঞায় শিল্প উৎপাদন গভীরভাবে প্রভাবিত হওয়া। বয়ানে বলা হয়েছে, ‘কয়লার ঘরোয়া উৎপাদন বাড়ায় বিদ্যুতের চাহিদা বাড়া সত্ত্বেও এই ইন্ধনের আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।’ কয়লা নির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলির উৎপাদন নভেম্বর ২০২১ এ ছিল ৬৭১.৯১ হাজার লক্ষ ইউনিট। যা অর্থবর্ষ ২০১৯-২০-তে উৎপাদন হওয়া ৬৩৮.৮২ হাজার লক্ষ ইউনিটের তুলনায় ৫.১৭ শতাংশ বেশি।

আমদানিকৃত কয়লা দ্বারা উৎপন্ন বিদ্যুৎ, ২০১৯ এর এপ্রিল-নভেম্বরের মধ্যে ৬১.৭৮ হাজার লক্ষ ইউনিট ছিল। এটি ২০২১-২২ এর একই সময়সীমায় ৫১.৩৮ শতাংশ কমে ৩০.০৪ হাজার লক্ষে নেমে এসেছে। সমস্ত স্তরের নন কোকিং কয়লার আমদানি চলতি অর্থবর্ষে এপ্রিল থেকে নভেম্বরে মধ্যে ১৮.৩৬ শতাংশ কমে ১০.৭৪ কোটি টন থেকেছে, যা ২০১৯-২০-র একই সময়সীমা পর্যন্ত ছিল ১৩.১৫ কোটি টন। সবমিলিয়ে কয়লার আমদানি আলোচ্য সময় পর্যন্ত প্রায় ১১.১৩ শতাংশ কমে হয়েছে ১৪.৭১ কোটি টন।

দেশে কয়লার সমস্যা নেই

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার পরিস্কার করে দিয়েছে যে দেশে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লার কোনো সমস্য নেই। এর মধ্যে সরকার সোমবার দিন জানিয়েছে যে থার্মাল কয়লার চাহিদা পূরণ করার জন্য আমদানির উপর দেশের নির্ভরতা দ্রুতগতিতে কমেছে আর জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে আগামি অর্থবর্ষে এই চাহিদা কোল ইন্ডিয়া, সিঙ্গরেনী কোলিয়ারিজ কোম্পানি লিমিটেড আর ক্যাপ্টিভ খনিগুলি থেকে পূরণ করা হবে। বিদ্যুতমন্ত্রক ২০২২-২৩ এর জন্য কয়লা নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ৭২৭ লক্ষ কোটি টন ঘরোয়া কয়লার প্রয়োজন হওয়ার অনুমান করেছে। কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি সোমবার বলেছেন, দেশে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লার কোনো অভাব নেই। ২০২১ এও, নিকাশির কিছু কারণের জন্য থার্মাল পাওয়ার প্লান্টগুলিতে কয়লার মজুত কম হয়েছিল, কিন্তু দেশে পর্যাপ্ত কয়লা ছিল।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

Next Article