নয়া দিল্লি: সরকার ওমিক্রনের সংক্রমন বৃদ্ধির বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু করে দিয়েছে। আজ কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল দেশে অক্সিজেনের যোগান নিয়ে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে অক্সিজেনের সরবরাহ সুনিশ্চিত করার উপায় নিয়েও ভাবনা চিন্তা করা হয়েছে। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেনের সংকট দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। ফলে এখন সরকার আর সময় নষ্ট করতে চায় না।
পীযূষ গোয়েলের সমীক্ষা বৈঠক
কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বৃহস্পতিবার সিনিয়র আধিকারীকদের সঙ্গে কোভিড-১৯ ক্রমবর্ধমান সংক্রমণকে মাথায় রেখে দেশে পর্যাপ্ত চিকিৎসা, অক্সিজেনের যোগান সুনিশ্চিত করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন দেশজুড়ে মেডিকেল অক্সিজেনের চাহিদা অভূতপূর্ব বৃদ্ধি পেয়েছিল। প্রথম ঢেউয়ের সময় ৩,০৯৫ মেট্রিক টন অক্সিজেনের আবশ্যক হয়েছিল সেই তুলনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় এই চাহিদা বেড়ে ৯,০০০ মেট্রিক টনে পৌঁছে গিয়েছিল। চিকিৎসার কারণে অক্সিজেনের সরবরাহ ২০১৯ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ছিল ১,০০০ টন, যা এবছর মে মাসে প্রায় ১০ গুন বেড়ে হয়েছিল প্রতিদিন ৯,৬০০ টন।
পীযূষ গোয়েল একটি টুইট করে জানিয়েছেন, ‘দেশে মেডিকেল অক্সিজেন তৈরির ব্যাপারে এখটি সমীক্ষা বৈঠক করেছি। কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইকে শক্তিশালী করতে পর্যাপ্ত মেডিকেল অক্সিজেনের সরবরাহ সুনিশ্চিত করার উপায়ের উপর আলাপ আলোচনা করা হয়েছে।’ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেকে শিক্ষা নিয়ে সরকার লাগাতার অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি করছে। অন্যদিকে অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি করা ইন্ডাস্ট্রিকেও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছিল যে প্রধানমন্ত্রী কেয়ার ফান্ডের মাধ্যমে দেশজুড়ে বারোশোর বেশি অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানো হবে। আসলে অক্সিজেনের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি হল শিল্পক্ষেত্রে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় চিকিৎসার কারণে অক্সিজেনের চাহিদা বাড়ায় শিল্পক্ষেত্রের কাজে প্রভাব পড়েছিল। সরকার এবার সুনিশ্চিত করতে চায় যে যে কোনও পরিস্থিতিতে চিকিৎসা হোক বা শিল্প ক্ষেত্র, কোথাও যেন অক্সিজেনের অভাব না দেখা যায়।
আরও পড়ুন: Dr. R Ahmed Dental College: আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে করোনার থাবা, একসঙ্গে ১৩ জন সংক্রমিত!