ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপোরেট কমিয়ে দেয় ২৫ বেসিস পয়েন্ট। আর তারপর বিভিন্ন লোনের সুদের হার কিছুটা হলেও কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু এই সুদের হার কমে যাওয়ার যে সুবিধা তা নিতে পারছেন না অনেক ঋণ গ্রহীতা। উল্লেখ্য, রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমার পর বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৬.২৫-এ। আরবিআইয়ের নির্দেশ অনুযায়ী, ব্যাঙ্কগুলো এই নির্দেশ আসার ৩ মাসের মধ্যে যাঁরা হোম লোন নিয়েছেন তাঁদের সুদ কমাতে বাধ্য।
২০১৯ সালের ১লা অক্টোবর থেকে প্রতিটা ব্যাঙ্কের যে লোনের সুদের হার ফ্লোটিং রেটে থাকে, তারা রেপো রেটকে বেঞ্চমার্ক মনে করে। আরবিআইয়ের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটা ব্যাঙ্ক প্রতি ত্রৈমাসিকে তাদের সুদের হার পর্যালোচনা করে। যদিও প্রতি গ্রাহকের ক্ষেত্রে সুদের হার আলাদা হতে পারে। কারণ সে ক্ষেত্রে সুদের হার ওই গ্রাহকের আয়, ক্রেডিট স্কোরের মতো বিষয়গুলোর উপর নির্ভর করে।
আরবিআইয়ের রেপো রেট কমানোর পর প্রতিটা ব্যাঙ্কের লোনের উপর ফ্লোটিং সুদের হারও ০.২৫ শতাংশ করে কমে যাওয়া উচিৎ। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এমন খবর মিলেছে যে ব্যাঙ্কগুলো লোনের উপর সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্টের পরিবর্তে ১০ থেকে ১৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছে।
ব্যাঙ্কবাজার ডট কমের (একটি ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস সংস্থার ওয়েবসাইট) ২১ মার্চের তথ্য বলছে, আরবিআই রেপো রেট কমানোর পরও ২০ বছরের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা লোনের সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছেন অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক। সুদের হার ৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক। ১০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছে কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক। তাদের এই তথ্য অনুযায়ী, রেপো রেট কমার পর সবচেয়ে কম ৮.১০ শতাংশ হারে হোম লোন দিচ্ছে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ও ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
কোথাও বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করুন। এই ভিডিয়ো শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। TV9 বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।