Home Loan: কম সুদে হোম লোন পেতে চান? এই বিশেষ তথ্যটা জেনে রাখুন
Home Loan: গ্রাহক আগের সমস্ত ঋণ সময়মতো পরিশোধ করেছেন কি না, সেটা দেখেই CIBIL স্কোর ঠিক হয়। ক্রেডিট কার্ড এবং অন্যান্য ঋণের ব্যবহার কীভাবে হচ্ছে, তার ওপরেও স্কোর নির্ভর করে।
কলকাতা: নিজের একটা বাড়ি কেনার স্বপ্ন সবার থাকে। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই জমানো টাকা খরচ না করে ঋণ নিয়ে বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনেন। তবে সেখানে তো আর এক সমস্যা। ঋণের বোঝা মাথায় থাকলে চিন্তা বেড়ে যায় অনেকটাই। তবে হোম লোন নেওয়া ক্ষেত্রে কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে, তাহলে কম সুদের হারে ঋণ পেতে পারেন।
গৃহঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে CIBIL স্কোর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গৃহঋণের মতো দীর্ঘমেয়াদী ঋণের জন্য সিবিআইএল স্কোর মাথায় রাখতে হয়। CIBIL স্কোরের ভিত্তিতে ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি আর্থিক বিশ্বাসযোগ্যতা পরীক্ষা করে এই স্কোরের সাহায্যে। এই ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলি আপনাকে সহজে এবং কম সুদের হারে হোম লোন প্রদান করে। একই সময়ে, যদি আপনার সিবিল স্কোর খারাপ থাকে, তাহলে আপনার আবেদনও বাতিল হয়ে যেতে পারে।
CIBIL স্কোর হল ৩০০ থেকে ৯০০-র মধ্যে একটি সংখ্যা। এর থেকে বোঝা যাবে গ্রাহকের আর্থিক অভ্যাস কেমন। অর্থাৎ তিনি আয়-ব্যয়, সঞ্চয় কীভাবে করেন, ব্যাঙ্কের ঋণ শোধ করেন কি না। এই স্কোরটি TransUnion CIBIL, Equifax, Experian এবং CRIF Highmark-এর মতো ক্রেডিট ব্যুরো দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছে।
গ্রাহক আগের সমস্ত ঋণ সময়মতো পরিশোধ করেছেন কি না, সেটা দেখেই CIBIL স্কোর ঠিক হয়। ক্রেডিট কার্ড এবং অন্যান্য ঋণের ব্যবহার কীভাবে হচ্ছে, তার ওপরেও স্কোর নির্ভর করে।
বিভিন্ন ধরনের ঋণের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হোম লোন, অটো লোন এবং ব্যক্তিগত ঋণ বা পার্সোনাল লোনের দিকেই মূলত নজর দেওয়া হয়। যদি গ্রাহকের ক্রেডিট রিপোর্টে কোনও ত্রুটি থাকে বা গ্রাহক যদি ঋণ নিষ্পত্তি না করেন, তাহলে এটি স্কোর কমিয়ে দিতে পারে।
৩০০ থেকে ৫৫০ পর্যন্ত স্কোরটি খারাপ বলে মনে করা হয় এবং ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা কম। ৫৫০ থেকে ৬৫০ হল মোটামুটি। সেই ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলি ঋণ দেওয়ার কথা বিবেচনা করতে পারে, তবে সুদের হার বেশি হতে পারে। আর ৬৫০ থেকে ৭৫০ হল ভাল স্কোর। ৭৫০-র উপরে থাকলে তো খুবই ভাল। ৭৫০ থেকে ৯০০-র মধ্যে থাকলে ব্যাঙ্কগুলি অবিলম্বে এবং কম সুদের হারে ঋণ দেয়।
CIBIL স্কোর উন্নত করতে গেলে গ্রাহককে সমস্ত ঋণ এবং ক্রেডিট কার্ডের ধার সময়মতো পরিশোধ করতে হবে। ক্রেডিট কার্ডের সীমা অনুযায়ী খরচ করতে হবে। নিয়মিত ক্রেডিট রিপোর্ট পরীক্ষা করা দরকার। কোনও ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন হওয়া দরকার।