নয়া দিল্লি: কখনও এই নেতা তো কখনও ওই মন্ত্রী। নিত্যদিনই বিভিন্ন নামজাদা ব্যক্তির বাড়িতে আয়কর হানা হচ্ছে। বাড়ি থেকে উদ্ধার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই চিন্তায় পড়েছেন বাড়িতে রাখা টাকা নিয়ে। জরুরি সময়ে প্রয়োজনেক জন্য প্রত্যেকের বাড়িতেই বা লকারে রাখা থাকে টাকা। তবে এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন, বাড়িতে ঠিক কত টাকা রাখলে আয়কর দফতর হানা দেবে না? ভারতের আইন কী বলে?
আয়কর আইন অনুযায়ী, বাড়িতে নগদ টাকা রাখার কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই। তবে আয়কর দফতর যদি বাড়িতে হানা দেয় এবং নগদ টাকা উদ্ধার করে, তবে টাকার মালিককে আয়ের উৎসের প্রমাণ দিতে হবে এবং সেই আয়ের উৎস আইনসম্মত হতে হবে।
যদি আপনার আয়ের সঙ্গে বাড়িতে রাখা অর্থের মিল না থাকে, তবে আয়কর দফতর আপনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারে। জরিমানা থেকে জেল অবধি হতে পারে। হিসাব বহির্ভূত অর্থ বাজেয়াপ্ত করবে আয়কর দফতর। উদ্ধার নগদের উপরে ১৩৭ শতাংশ অবধি জরিমানা হতে পারে।
কোনও ব্যক্তি ঋণ, ডিপোজিট বা স্থাবর সম্পত্তি বাবদ ২০ হাজার টাকা বা তার বেশি নগদ গ্রহণ করতে পারেন না। যদি কোনও ব্যক্তি এক অর্থবর্ষে ২০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ লেনদেন করেন, তবে আয়ের উৎস দেখাতে না পারলে, মোটা জরিমানা হতে পারে।
সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্সের নিয়ম অনুযায়ী, একবারে ৫০ হাজার টাকার বেশি অর্থ জমা বা তোলার ক্ষেত্রে অবশ্যই প্য়ান কার্ডের নথি ও তথ্য জমা দিতে হবে। যদি এক বছরে ২০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ জমা দেন, তবে তাঁকে বাধ্যতামূলকভাবে আধার কার্ড ও প্যান কার্ডের তথ্য জমা দিতেই হবে।
যদি ৩০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ অর্থ দিয়ে সম্পত্তি কেনা-বেচা করা হয়, তবে ওই ব্যক্তি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে থাকবেন। একইভাবে যদি একবারে কেউ ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে একবারে ১ লক্ষ টাকা পেমেন্ট করেন, তবে সেই ব্যক্তিও তদন্তকারী সংস্থার র্যাডারে থাকবেন।