নয়া দিল্লি: নগদ অর্থ নয়, আর্থিক লেনদেনের জন্য বর্তমানে অনেকেই ভরসা করেন অনলাইন লেনদেনের উপরে। অনলাইন লেনদেনে যেমন একদিকে কাজ সহজ হয়েছে, তেমনই আবার আর্থিক প্রতারণার ঝুঁকিও বেড়েছে অনেকটাই। বর্তমানে বিভিন্ন ডিজিটাল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ঋণের সুবিধা পাওয়া যায়। কিন্তু এর মধ্যে কোন অ্যাপগুলি আসল আর কোনগুলি নকল, তা বোঝা দায়। এই কারণেই অনেক সময় ভুয়ো অ্যাপে নানা আকর্ষণীয় অফারে ঋণ পাওয়ার লোভে পা দিয়ে প্রতারণা চক্রের জালে জড়িয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ।
খুব সামান্য নথি দিয়ে, সহজে কয়েকটি ধাপেই ঋণ পাওয়া যায় বলেই অনেকেই এই অনলাইন অ্যাপগুলির প্রতারণার ফাঁদে পা দেন। তবে এই প্রতারণা অ্যাপগুলিতে সুদের হার অনেকটাই চড়া হয়। এরফলে অনেকেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঋণ মেটাতে পারেন না। যখনই গ্রাহকরা এই ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন, তখন তাদের বাড়িতে হাজির হন রিকোভারি এজেন্টরা। ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে এবং এজেন্টদের হেনস্থার শিকার হয়ে বহু মানুষ আত্মহত্যাও করে নেন।
রিজার্ভ ব্য়াঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফে অনলাইন ঋণ অ্যাপগুলির মধ্যে কোনগুলি আসল ও কোনগুলি নকল, তা বোঝার জন্য সহজ কয়েকটি তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
১. যখনই আপনি ফোনে কোনও বেআইনি অ্যাপ ডাউনলোড করবেন, তখন সেই অ্যাপ থেকে আপনার কন্ট্যাক্ট লিস্ট, ফোটো গ্যালারি, ক্যামেরা- যাবতীয় অ্যাপের তথ্য জানার জন্য় রিকোয়েস্ট অ্যাক্সেস চাওয়া হয়। যদি আপনার ফোনে এমন কোনও অ্যাপ থাকে, যা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চায়, তবে এখনই সেই অ্য়াপ আনইনস্টল করুন।
২. যদি কোনও ঋণ সংক্রান্ত অ্যাপ নিয়ে আপনার সংশয় থাকে, তবে কোনও ব্যাঙ্ক বা ভরসাযোগ্য আর্থিক সংস্থা থেকেই ঋণ নেওয়া শ্রেয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফেও একটি নন-ব্যাঙ্কিং ফিন্যান্সিয়াল কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে যেখান থেকে ঋণ নিলে কোনও আর্থিক ঝুঁকি থাকে না।
৩. যদি আপনাকে কেউ সন্দেহজনক মেসেজ বা লিঙ্ক পাঠান যেখানে অত্যন্ত লোভনীয় অফার দেওয়া হচ্ছে, তবে সেই সমস্ত লিঙ্কে ভুল করেও ক্লিক করবেন না।
৪. গুগল প্লে-স্টোর থেকে কোনও অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে অবশ্যই সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখবেন এবং অন্যান্য গ্রাহকদের রিভিউ পড়ে নেওয়া উচিত।