ওয়াশিংটন: ২০২৩ সালের বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধি নিয়ে পূর্বাভাস দিল ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড বা বিশ্ব অর্থ ভান্ডর (IMF)। বৃহস্পতিবার আইএমএফ প্রধান যা বলেছেন তা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চিন্তা বাড়তে পারে। এ বছর বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধি ৩ শতাংশের নীচে নেমে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আইএমএফ। আগামী কয়েক বছরেও এই আর্থিক বৃদ্ধির গতি শ্লথ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যেই কিছুটা হলে আশার কথা রয়েছে ভারত ও চিনের জন্য। আইএমএফ জানিয়েছে, ২০২৩ সালে বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধির অর্ধেকই হবে ভারত ও চিনে। কোভিড অতিমারির জেরে সারা বিশ্বের অর্থনীতির বৃদ্ধি মারাত্মক ধাক্কা খেয়েছিল। তার পর তা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বের অর্থনীতির উপর ফের কালো মেঘের ছায়া ফেলেছে।
গত বছরই আইএমএফ-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। সেই কোভিড ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এ বছরই চলবে। এমনকি আগামী পাঁচ বছর এই আর্থিক বৃদ্ধির গতি হ্রাস পাবে বলে মত আইএমএফের ওই পদাধিকারীর। তিনি বলেছেন, “২০২১ সালে অর্থনীতির পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ফের সংশয় তৈরি করে। এর জেরে ২০২২ সালে বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধি প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছিল। ৬.১ শতাংশ থেকে ৩.৪ শতাংশে নেমে গিয়েছিল।” এই আর্থিক বৃদ্ধি হ্রাস পাওয়া গরিব দেশগুলির কাছে অভিশাপ হিসাবে নেমে আসতে পারে। ওই সব দেশে গরিবি, খিদে বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এ ব্যাপারে ক্রিস্টালিনা বলেছেন, “দারিদ্র্য এবং ক্ষুধা আরও বাড়তে পারে, একটি বিপজ্জনক প্রবণতা যা কোভিড সংকট দ্বারা শুরু হয়েছিল তা আবার দেখা দিতে পারে।”
তবে এর মধ্যেই কিছুটা হলেও আশার আলো রয়েছে এশিয়ার দেশগুলির জন্য। বিশ্বের বাজারে আর্থিক বৃদ্ধি ধাক্কা খেলেও এশিয়ার দেশগুলিতে তার প্রভাব জোরালো হওয়ার সম্ভাবনা কম। এমনকি ভারত ও চিনের মতো বড় দুই দেশ, এ বছর বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধির অর্ধেকের অংশীদার হবে বলে আশা আইএমএফ-এর।