রাজস্থান: আজকাল চারপাশে যে সব ঘটনা ঘটেছে, যেভাবে প্রতারণার নতুন নতুন কারবারের পর্দাফাঁস করছে পুলিশ, তা সত্যিই চমকে দেওয়ার মতো। মুহূর্তের অসতর্কতায় খালি হয়ে যাচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। এমন ঘটনার কথা মাঝেমধ্যেই শোনা যায়। তবে এই ঘটনাটি একটি অন্যরকম। আয়কর দফতর থেকে সম্প্রতি নোটিস ধরানো হয়েছে রাজস্থানের এক দোকানদারকে। বিশেষভাবে সক্ষম ওই দোকানদারের অ্যাকাউন্ট থেকে ১২ কোটি ২৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, এই মর্মে নোটিস পেয়েছেন তিনি। আর নোটিস পেতেই চমকে উঠেছেন রাজস্থানের ভিলওয়াড়ার ওই দোকানদার। কারণ, দোকানদারের বক্তব্য, তিনি এমন কোনও লেনদেনই করেননি।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ৩৮ বছর বয়সি কিষান গোপাল চাপারওয়াল নামে ওই দোকানদার থাকেন ভিলওয়াড়ার সঞ্জয়নগরে। স্থানীয় থানায় বিষয়টি নিয়ে একটি অভিযোগও জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। তাঁর সন্দেহ কেউ তাঁর প্যান কার্ডের তথ্যের অপব্য়বহার করছে।
চাপারওয়াল যখন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে এই বিষয়ে বলেছিলেন, তখন তিনি বলেছিলেন যে মুম্বই এবং সুরাটে হীরের শেল কোম্পানির জন্য তাঁর প্যানের তথ্যে অপব্যবহার করা হয়েছে। এই কোম্পানির মাধ্যমেই কোটি কোটি টাকার ভুয়ো লেনদেন হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ওই দোকানদার ঋণ নিয়ে দোকান শুরু করেন। এখন ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছেন না। প্রতি মাসে ৮-১০ হাজার টাকা আয় হয় তাঁদের। ব্যবসায়ীর আরও দাবি, এই ভুয়ো সংস্থাগুলির সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই এবং তিনি প্রতারিত হয়েছেন।
ব্যবসায়ীর এখন মাথায় হাত পড়েছে। কারণ, আয়কর দফতর তাঁকে বলা হয়েছে ওই ১২ কোটি ২৩ লাখ টাকার লেনদেনের হিসেব দিতে। এই মর্মে নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর দফতর। কিন্তু তাঁরা জানেন না, কে বা কারা তাঁদের কার্ড নম্বর অপব্যবহার করছে। সুভাষ নগর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তির অভিযোগের তথ্য যাচাই করে দেখছে।
যদি কোনও করদাতা ই-ভেরিফিকেশনের নোটিস পান, তাহলে কী করণীয়? এক্ষেত্রে তাঁকে আয়কর দফতরের পোর্টালে গিয়ে লগ ইন করতে হবে এবং পেন্ডিং কাজের ট্যাবে যেতে হবে। তারপর কমপ্লায়েন্স পোর্টালে ক্লিক করে ই-ভেরিফাই অপশনে যেতে হবে। এরপর নির্দিষ্ট আর্থিক বছরে ক্লিক করে এবং ডকুমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (DIN) ব্যবহার করে নোটিসটি ডাউনলোড করতে হবে।